বিপর্যয়ের ধাক্কা সামলে ফের চেনা ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে পাহাড়। সেই সঙ্গেই বুধবার থেকে কালিম্পং ও সিকিমের মূল রাস্তা ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক খুলে দেওয়া হয়েছে। আর তারপর থেকেই পর্যটকদের মধ্য়ে খুশির হাওয়া। রাস্তা বন্ধ থাকায় এতদিন অনেকেই পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান ঠিকঠাক করতে পারছিলেন না। তবে এবার রাস্তা খুলতেই ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন পর্যটকরা।
বর্ষায় পাহাড়ের একাবারেই অন্য রূপ। যাঁরা চান যে একটু ফাঁকায় ফাঁকায় পাহাড়ের বৃষ্টিকে উপভোগ করব তাঁদের জন্য আদর্শ সময় হল এই অগস্ট মাস। এরপর পুজো চলে আসবে। আর পুজো মানেই ফের ভিড়ে ঠাসা পাহাড়। তবে রাস্তা খুলতেই অনেকেই চাইছেন ১৫ অগস্টে পাহাড়মুখী হতে। সিকিমেও যেতে চাইছেন অনেকে।
এবছর একের পর এক ধসে, তিস্তার উপচে ওঠা জলে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছিল পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই। কার্যত পর্যটকশূন্য হয়ে গিয়েছিল পাহাড়। যারা ধসের মধ্য়ে আটকে পড়েছিলেন তাদের কোনওরকমে নামিয়ে আনা হয়। ৩০শে জুন থেকে বন্ধ ছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। মূলত ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই রাস্তা। এরপর দ্রুত তা মেরামতির উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে একাধিক জায়গায় ধসের জেরে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘুরপথে কিছু গাড়ি যাচ্ছিল। মূলত পর্যটকরা যাতে এই রাস্তায় আসতে গিয়ে বিপদে না পড়েন সেটা দেখার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। অবশেষে সেই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক খুলে দেওয়া হল।
তবে গাড়ি চলাচল শুরু হলেও বর্ষার মধ্য়ে যাতে নতুন করে আর ধস না নামে সেটা দেখা হচ্ছে। কারণ এই বর্ষার সময়টাই সবথেকে সমস্যা বাড়ে পাহাড়ে। মাটি আলগা হয়ে গিয়ে বার বার ধস নামতে থাকে। সেকারণে সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। যাতে নতুন করে পর্যটকরা সমস্যায় না পড়েন সেটা দেখা হচ্ছে।
এদিকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক খুলতেই পর্যটকদের অনেকেই পাহাড়ে বেড়াতে যেতে চাইছেন। ১৫ অগস্ট থেকে চার-পাঁচদিনের জন্য পাহাড়ে বেড়াতে যেতে চাইছেন অনেকে। পুজোর সময় সিকিমে যাওয়ার প্ল্যান আছে অনেকের। সেই মতো তাঁরা বুকিং করিয়ে রাখছেন। সেই সময় হোটেলের ভাড়া, গাড়ি ভাড়াও চড়তে থাকে। সেকারণে আগাম বুকিং করিয়ে রাখলে কিছুটা সুবিধা হতে পারে।