গত এক দশকে রেলপথের উন্নতির জন্য বিপুল টাকা খরচ করা হয়েছে। সেই অঙ্কের পরিমাণ প্রায় ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা। রেলপথের উন্নয়ন, ট্রেনের গতিবৃদ্ধি এবং রেল পরিষেবার উন্নতিতে এই টাকা খরচ হওয়ার কথা। তা হয়েছেও। কিন্তু তার কতটা সুফল পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ? এই সংক্রান্ত রিপোর্টই এ মাঝে প্রকাশ করেছে CAG।
বেশ কয়েকটি বিষয় এই রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, ২০২৬-১৭ সালে যে ‘মিশন রফতার’-এর লক্ষ্য নেওয়া হয়, তা পুরোপুরি ব্যর্থ। ব্যস্ত রুটেও যাতে ট্রেন দ্রুত গতিতে ছুটতে পারে, তার লক্ষ্যে এই ‘মিশন রফতার’ শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই মিশনের কারণে ট্রেনের গতিতে বিশেষ হেরফের হয়নি। ২০২১-২২ সালের মধ্যে এই সব রুটে এক্সপ্রেস ট্রেন ৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে দৌড়োনোর কথা ছিল। কিন্তু তেমন উল্লেখযোগ্যভাবে ট্রেনের গতি বাড়েনি।
এছাড়া আরও একটি লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছিল রেল। লক্ষ্য ছিল, ট্রেনকে অনেক বেশি পরিমাণে সময়ানুবর্তী করে তোলার। কিন্তু এতগুলি টাকা খরচ করেও সেই ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও লাভ হয়নি। তেমনই বলছে CAG রিপোর্ট।
২০০৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রেলের উন্নতির খাতে ব্যয় হয়েছে ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা। তার ফলে ট্রেন আগের চেয়ে কতটা সঠিক সময়ে চলছে? রিপোর্টে যে সংখ্যাটি বলা হয়েছে, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। বলা হয়েছে, এই বিপুল অর্থ ব্যয় করেও সময়ানুবর্তিতার ক্ষেত্রে এক্সপ্রেস ট্রেনের উন্নতি হয়েছে মাত্র ০.১৮ শতাংশ। গতি বেড়েছে মাত্র ০.৬১ শতাংশ।
তবে মালগাড়ির ক্ষেত্রে এই অবস্থা আরও খারাপ। কারণ এত টাকা খরচ করে মালগাড়ির গতি আগের চেয়ে কমে গিয়েছে। গত এক দশকে তা কমেছে ৯.৭২ শতাংশ।