ধূমপানের কারণে বিপদ বাড়ছে। এই কথা সকলেই জানেন। বিশেষ করে করোনাকালে যখন ফুসফুসের যত্ন নেওয়াটা খুব দরকারি হয়ে পড়ছে, তখন ধূমপানর অভ্যাস অনেককে মৃত্যুর দিকেও ঠেলে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা খুবই দরকারি। তাছাড়া ধূমপানের কারণে হার্টের ক্ষতি হয়, হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে, ক্যানসারের মতো অসুখের আশঙ্কা বাড়ে— এসব কথাও অনেকে জানেন। তার পরেও ছাড়তে পারেন না এই আসক্তি।
ধূমপান ছাড়ার জন্য কী কী করতে পারেন? এই বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন ফুসফুস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরুণেশ কুমার। সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাকক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, যাঁরা ধূমপান করছেন, তাঁদের যা ক্ষতি হওয়ার, তা তো হচ্ছেই। কিন্তু আমরা অনেক সময়েই ভুলে যাই, ধূমপায়ীদের কারণে অন্য মানুষেরও মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে ধূমপায়ীদের আশপাশে শিশুরা থাকলে, তাদের সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিংয়ের কারণে মারাত্মক ক্ষতি হয়। শুধু তাই নয়, বাড়িতে কেউ নিয়মিত ঝূমপান করলে শিশুদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা পর্যন্ত পেড়ে যেতে পারে। এমনই বলছেন চিকিৎসকরা।
কীভাবে ছাড়বেন এই ধূমপানের অভ্যাস?
কয়েকটি রাস্তা বলেছেন চিকিৎসক অরুণেশ কুমার। জেনে নিন সেগুলি:
- Nicotine Replacement Therapy: ধূমপানের ইচ্ছা বার বার ফিরে আসে। অনেকেই বাদ্য হন ধূমপান করতে। ছেড়ে দিতে চেয়েও পারেন না। এর সবচেয়ে বড় কারণ রক্তে নিকোটিন মেশা। ধূমপানের কারণে রক্তে নিকোটিন মেশে। সেটির অভাব হলেই আবার ধূমপানের ইচ্ছা করতে থাকে। এই সমস্যা এড়ানোর সহজতম রাস্তা হল নিকোটিন লজেন্স, চুইংগাম বা প্যাচ ব্যবহার করা। এমনই বলছেন চিকিৎসক।
- নির্দিষ্ট ওষুধ: ধূমপান ছেড়ে দিতে গেলে অনেকেই মেজাজ খারাপ হয়, মন খিচখিচ করতে থাকে। এই সমস্যার জন্যই আবার ফিরে আসে ধূমপানের ইচ্ছা। এসব ক্ষেত্রে নিকোটিন লজেন্স, চুইংগাম বা প্যাচ ব্যবহার করতে পারেন। তাতে কাজ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। খুব সাধারণ কিছু ওষুধ এই সমস্যা আটকাতে পারে।
- মনোবিদের পরামর্শ: ধূমপান ছাড়তে পারবেন কি না, তার অনেকটাই নির্ভর করে মনের উপর। মন শক্ত করতে পারলে, এই সমস্যা আটকানো যায়। ধূমপান ছাড়ার কাজটিও সহজ হয়ে যায়। তাই দরকারে মনোবিদের পরামর্শ নিন।
- ধূমপানের সহযোগী জিনিসগুলি ত্যাগ করুন: অনেকেই মদ্যপানের সঙ্গে ধূমপান করেন। এই জাতীয় অভ্যাস ধূমপানের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। তাই ধূমপান ছাড়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকলে এই অভ্যাস ত্যাগ করুন।