বেশ কিছুদিন বৃষ্টি হওয়ার ফলে গরম কিছুটা কমেছিল, কিন্তু ফের দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ছে হু হু করে। এমন পরিস্থিতিতে শরীরে জলের কমতি দেখা যাচ্ছে যা পূরণ করার জন্য কোল্ড ড্রিঙ্কস অথবা সোডা খান অনেকে, কিন্তু এগুলি খেলে আপনার শরীর ঠান্ডা হয়তো হবে কিছু সময়ের জন্য, কিন্তু তাতে শরীরের ক্ষতি হয়ে যাবে অনেকটা।
অত্যাধিক গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এবং নিজেকে হাইড্রেটেড করে রাখার জন্য কোল্ড ড্রিঙ্ক অথবা সোডা নয় বরং খান এই খাবার গুলি। এগুলি আপনার শরীরকে ঠান্ডা রাখবে তো বটেই, উল্টে আপনার শরীরকে দেবে একাধিক পুষ্টিগুণ।
নারকেল জল: নারকেলের জল যে শুধুমাত্র শরীরকে হাইডেট্রেড করে তা নয়, এটি শরীরের মিনারেল স্তরকে বজায় রাখে এবং শরীরকে ঠান্ডা করে। এছাড়া ডায়রিয়া, আমাশার মতো সমস্যা হলে নারকেল জল শরীরকে সুস্থ করতে কাজে লাগে।
(আরো পড়ুন: বিশ্ব এইডস ভ্যাকসিন দিবসে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিন সচেতনতা, জানুন এই দিনটির গুরুত্ব)
তরমুজ: নারকেল জলের পরেই রয়েছে তরমুজের স্থান। তরমুজ শরীরকে ঠান্ডা করে এবং শরীরে জলের ঘাটতি দূর করে। অতিরিক্ত গরমে রোজ যদি তরমুজ খাওয়া যায় তাহলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয় না।
পুদিনা পাতার সরবত: পুদিনা পাতা হজম ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। রোজ সকালে লেবু, শসা এবং পুদিনা পাতার জল আপনার শরীরকে করে ঠান্ডা।
কলা: কোনও কারনে যদি শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে কিন্তু কলা ভীষণ উপকারী। কলা শরীরের অতিরিক্ত জল পূরণ করার পাশাপাশি শরীরকে ঠান্ডা রাখে। এছাড়া প্রত্যেক দিন কলা খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
বাটার মিল্ক: বাটার মিল্ক এমন একটা স্মুদি, যাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক। এটি আপনার মেটাবলিজম সমস্যা কে দূর করে এবং শরীরকে রাখে ঠান্ডা।
শসা: শসার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় পদার্থ যা আপনার শরীরকে ডিহাইড্রেটেড করার হাত থেকে রক্ষা করে। শরীরে অতিরিক্ত উত্তাপ কমিয়ে ফেলে শরীরকে ঠান্ডা রাখে শশা।
(আরো পড়ুন: ভারতে ১০টি বিপন্ন প্রজাতি কোনগুলি?)
লেবুর জল: লেবুতে থাকেস প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য লেবুর রস খাওয়া ভীষণ উপকারী
বেলের শরবত: বেলের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি ফাংগাল উপাদান এবং একাধিক পুষ্টিগুণ। শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য বেলের শরবত খাওয়া ভীষণ দরকার।
আখের রস: আখের রসকে বলা হয় প্রাকৃতিক এনার্জি বুস্টার। আখের রস খেলে আপনার এনার্জি লেভেল বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি আপনার শরীর ঠান্ডা থাকে এবং হাইড্রেটেড থাকে।