আর বেশি দিন বাকি নেই দুর্গাপুজোর। কলকাতা থেকে শহরতলি, সর্বত্র চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কোথাও লাইটের কাজ চলছে, কোথাও আবার থার্মোকলের কাটিং শেষ হয়েছে সবে। গত বেশ কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে যে কাজ থমকে ছিল তা আবার জোর কদমে শুরু হয়েছে পুজো মণ্ডপ গুলিতে।
কলকাতার পুজো যে নজরকাড়া হয় তা বলাই বাহুল্য। তবে থিমের দিক থেকে পিছিয়ে থাকে না জেলাগুলিও। এবার পুজোর বিশেষ চমক দেখতে হলে আপনাকে যেতেই হবে, হুগলির বলাগড়ে। দুর্গাপুজায় এখানকার মণ্ডপগুলি সেজে উঠতে চলেছে একেবারে অনন্য ভাবে। কিন্তু সব থেকে বেশি নজর কাড়বে জিরাট সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।
(আরও পড়ুন: এই অস্থির সময়ে মা দুর্গার উপর ভরসা রাখুন, এখন থেকেই প্রিয়জনদের পাঠান শারদীয়ার শুভেচ্ছা)
জিরাট সার্বজনীন দুর্গাৎসব কমিটির এই বছর প্লাটিনাম জয়ন্তী বর্ষ। এবারের থিম হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দির। ইতিমধ্যেই মন্ডপ তৈরির কাজ প্রায় অর্ধেক শেষ হয়ে গেছে। পরিবেশ বান্ধব মণ্ডপ তৈরি করার জন্য পুজো মন্ডপে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ, ফোম, ভেষজ রঙ এবং পাট। মন্ডপের আলোকসজ্জাতেও থাকবে বেশ কিছু চমক। শব্দের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমুহূর্তে রঙ পাল্টাবে মন্ডপ।
এই প্রসঙ্গে শিল্পী তপন কুমার পাত্র বলেন, ‘প্রায় একমাস ধরে চলছে মন্ডপ তৈরির কাজ। অযোধ্যায় যতটা এলাকা জুড়ে রাম মন্দির অবস্থিত ততটা এলাকা পাওয়া যায়নি এখানে। তবে অল্প জায়গাতেই মন্ডপ নির্মাণ করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ মন্ডপে ফাইবারের কাজ করা হবে। মন্ডপের চারিপাশে থাকবে নারায়ণ, রাম, সীতা এবং হনুমানের মূর্তি। ভেতরে থাকবে ২৫ ফুট বাই ২৫ ফুটের একটি ঝাড়। তৃতীয়ার মধ্যে মণ্ডপের কাজ সমাপ্ত করতে হবে তাই আপাতত সব কাজ ভুলে মন্ডপ তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পীরা।’
(আরও পড়ুন: পুজো আসতে আর মোটে তিন সপ্তাহ দেরি! এখন থেকেই ঘনিষ্ঠদের পাঠিয়ে দিন শুভেচ্ছাবার্তা)
পুজো কমিটির সেক্রেটারি নীলাদ্রি মন্ডল বলেন, ‘ভারতবর্ষে সবথেকে চর্চিত একটি মন্দির হল রামমন্দির। বহু মানুষ রয়েছেন যারা অযোধ্যায় গিয়ে রাম মন্দির দর্শন করতে পারেন না শারীরিক সমস্যার কারণে। গ্রামের বহু মানুষ আছে যাদের স্বপ্ন রাম মন্দির দর্শন করা, তাই এবার আমরা রাম মন্দিরের অনুকরণে পুজো মন্ডপ তৈরি করছি। আমাদের পুজোর বাজেট প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সনাতনী প্রতিমা পূজিত হবেন মণ্ডপে।’