আমাদের সম্পূর্ণ শরীরকে নিয়ন্ত্রণে রাখে যে, সে হলো হৃদপিণ্ড। হৃদপিণ্ড অথবা হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য তাই আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। প্রতি দিনের স্বাস্থ্যকর জীবন অতিবাহিত করার পাশাপাশি লক্ষ্য রাখতে হয় খাবারের ওপর। বর্তমান সময়ে কম বয়সী মানুষের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়। তবে এই সমস্যা দূর করা যায় শুধুমাত্র একটি খাদ্যাভাসের নিয়মের হেরফেরে।
হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন ক্যালসিয়াম
ক্যালসিয়াম, এই উপাদানটিকে সকলে হাড়ের নমনীয়তা বাড়ানোর অন্যতম উপাদান হিসেবে মনে করেন। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না, হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ক্যালসিয়াম হল অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান। প্রত্যেকদিন সকালে ব্রেকফাস্ট করার সময় যদি ডায়েটে রাখেন ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ কোনও খাবার, তাহলে আপনি মুক্তি পাবেন হার্টের অসুখ থেকে।
(আরো পড়ুন: শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হলে দেখা দিতে পারে এই সমস্যাগুলি, এখন থেকেই হয়ে যান সাবধান)
হার্টের সমস্যায় কী ভূমিকা ক্যালসিয়ামের?
সম্পত্তির গবেষণায় দেখা গেছে, হার্টফেলিয়ারের অন্যতম কারণ হলো ডাইলেটেড কার্ডিওমায়োপ্যাথি বা ডি সি এম। ডি সি এম- এর ক্ষেত্রে হার্টের পাম্প করার ক্ষমতা কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, জিনগত সমস্যা থাকার কারণে ডিসিএম হতে পারে। দেখা গেছে, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বি এ জি ৫ নামক একটি জিন।
বি এ জি ৫ হৃদপিণ্ডতে ক্যালসিয়ামের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে। তাই হৃদপিন্ডকে স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে ভীষণ প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম। ঠিক এই কারণেই শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্যালসিয়াম হার্ট অ্যাটাকের ৬ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে।
(আরো পড়ুন:ছবিতে কি শুধু পাখিই দেখতে পাচ্ছেন? আর কিছু নেই তো! রইল ভাইরাল অপটিক্যাল ইলিউশন)
শুধু ব্রেকফাস্ট নয়, সারাদিন খেতে হবে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
প্রতি দিন সকালে ব্রেকফাস্ট করার সময় দুধ অথবা দুগ্ধজাতক খাবার খাওয়া ভীষণ প্রয়োজন। দুধের মধ্যে যে ব্যাপক পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে তা সকলেরই জানা। এছাড়া ডিম, মাছ, মাংস খেতে হবে রোজ। সবুজ শাকসবজি এবং ফল খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখতে হবে। সকালে দুধ যদি না খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে রাতেও খেতে পারেন দুধ। মোট কথা, সারাদিন বিভিন্ন খাবারের মধ্যে ক্যালসিয়াম যেন থাকে, সেটা খেয়াল রাখতে হবে আপনাকেই।