বড় মাছে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ থাকে। যাঁদের পুষ্টির ঘাটতি থাকে, তাঁদের নিয়মিত মাছ খাওয়ার পরামর্শও দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বড় মাছের দাম বেশি হয়। ফলে সকলের পক্ষে সেই মাছ কেনা সম্ভব হয় না।
ভারতের বড় অংশের মানুষ গরিব। আফ্রিকার নানা দেশের অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে মাছ কিনে খাওয়া প্রায় বিলাসিতার সমান। এহেন পরিস্থিতিতে পুষ্টির ঘাটতি থেকে যায় অনেকেরই। কিন্তু তাঁদের জন্য নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। হালের এক গবেষণা বলছে তেমনই কথা।
সম্প্রতি ল্যাঙ্কাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা আশার আলো দেখিয়েছে সারা বিশ্বের গরিব মানুষকে। যে সব মানুষ অর্থের অভাবে পুষ্টিকর খাবার, বিশেষ করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে পারেন না, তাঁদের এই পুষ্টির ঘাটতি মিটিয়ে দিতে পারে ছোট মাছ। এমনই বলছে গবেষণাটি।
পরিসংখ্যান বলছে, পুকুর, নী বা সমুদ্রের ছোট মাছের দাম বড় মাছের তুলনায় অনেকটাই কম। ভারতের বাজারেও এমন বহু ছোট মাছ পাওয়া যায়, যা বেশ সস্তা। এগুলি পুকুর, নদী বা সমুদ্রের একেবারে উপরের জলস্তরে থাকে। ফলে এগুলি ধরা সহজ। আর সেই কারণেই এগুলির দামও তুলনামূলকভাবে কম হয়। কিন্তু পুষ্টিগুণের বিচারে এগুলি কোনও অংশেই বড় মাছের থেকে পিছিয়ে নেই। আর সেই কারণেই গরিব মানুষের পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে এগুলি। এমনই বলছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ক্যাথরিন ফিয়োরেলা, নতুন এই গবেষণা, সারা বিশ্বের অপুষ্টিজনিত সমস্যার অনেকটাই কাটিয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে, যে সব দেশের মানুষের পক্ষে বড় মাছ কেনা সম্ভবই নয়, সে সব দেশের মানুষকেও এর পরে অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে এই জাতীয় ছোট মাছ। কারণ ছোট মাছে বড় মাছের থেকে কোনও অংশেই কম পুষ্টিগুণ নেই।
তাই এবার থেকে ছোট মাছকে আর হেয় করবেন না। বড় মাছের চেয়ে চুনোপুঁটি মোটেই পিছিয়ে নেই। অন্তত পুষ্টিগুণের বিচারে তো বটেই।