পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফল হলো আম। গ্রীষ্মকাল আম ছাড়া ভাবাই যায় না। যদিও এখন বছরের প্রায় সব ঋতুতেই আম পাওয়া যায়। সারা বছর এই একটি ফলের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন মানুষ। শুধু সুস্বাদু খাবার হিসেবে নয়, ভারতীয় সংস্কৃতির একটি বড় অংশ ঘিরে রয়েছে এই ফলটি।
কাঁচা আমের তরকারি থেকে শুরু করে আমসত্ত্ব, আমের স্মুদি থেকে আরম্ভ করে আমের আইসক্রিম, সবকিছুই রয়েছে ভালবাসার লিস্টে। নুন এবং লঙ্কা দিয়ে কাঁচা আমের স্বাদ আলাদাই আনন্দ দেয়। এখনও কালবৈশাখী ঝড়ে আম কুড়াতে যায় বহু মানুষ। পুরনো দিনের স্মৃতির সঙ্গে ওত প্রতভাবে জড়িয়ে থাকে এই ফলটি।
কবে পালন করা হয় জাতীয় আম দিবস?
প্রতিবছর ২২ জুলাই জাতীয় আম দিবস পালন করা হয়। চলতি বছর দিনটি সোমবার পালন করা হবে।
জাতীয় আম দিবসের ইতিহাস
আম শব্দটি এসেছে মালয় শব্দ মান্না থেকে। মজার বিষয় হল, আম অ্যানাকার্ডিয়াসি পরিবার থেকে এসেছে যে পরিবার রয়েছে কাজু এবং পেস্তাও। আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর আগে ভারতীয় লোককাহিনীতে আমের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই ফলটিকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ১৯৮৭ সালে ভারতের ন্যাশনাল হর্টিকালচার বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়, প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট দিন আম দিবস হিসেবে পালন করা হবে।
জাতীয় আম দিবসের তাৎপর্য
আম শুধুমাত্র স্বাদের জন্য পরিচিত তা নয়, আমের মধ্যে রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আম দিবসে শুধু জাতীয় আম নয়, বিদেশি জাতের আমকেও চেনার সুযোগ থাকবে আপনার কাছে। তাই আমের স্বাদ গ্রহণ করার পাশাপাশি আম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করাই হলো এই দিনটির তাৎপর্য।
আপনি কীভাবে পালন করবেন জাতীয় আম দিবস
বাড়ির সকলকে আম খাইয়ে এই দিনটি পালন করতে পারেন। এছাড়া দুস্থ শিশুদের এই দিন আম খাওয়াতে পারেন আপনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমের উপকারিতা নিয়ে লেখালেখিও করতে পারেন আপনি। এই ভাবেই পালন করতে পারেন জাতীয় আম দিবস।