গরম পড়তে না পড়তেই বাজার ছেয়ে যায় বিভিন্ন প্রজাতির আমে। আম শুধু স্বাদের দিক থেকে নয়, পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অনেক ফলের থেকে রয়েছে এগিয়ে। তবে আপনি হয়তো জানেন না আম খাওয়ার সময় যে খোসা আপনি ফেলে দেন, সেটি খেলেও কিন্তু আপনি পেতে পারেন একাধিক পুষ্টিগুণ।
২০০৮ সালে প্রকাশিত ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটি গবেষণায় প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী জানা গেছে, আমের খোসা যদি আপনি খেতে পারেন তাহলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। শুধু তাই নয়, আমির খোসা ওজন কমাতে সাহায্য করে কারণ এতে রয়েছে ল্যাপটিন নামক একটি পদার্থ যা খিদে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
(আরো পড়ুন: নখের রং বুঝিয়ে দেয় ক্যানসার হবে কিনা! কীভাবে শনাক্ত করবেন)
ইউনিভার্সিটি অফ কুইন্সল্যান্ড স্কুল অফ ফার্মেসির গবেষণা অনুযায়ী জানা গেছে, আমের খোসায় রয়েছে ফাইবার, উদ্ভিদ যৌগ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যারোটিনয়েড এবং পলিফেনল যা হৃদরোগ এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। তবে আমের খোসা তো শুধু শুধু আপনি খেতে পারবেন না তাই আপনাকে আজ জানানো হবে আমের খোসা দিয়ে তৈরি বেশ কিছু অনন্য রেসিপি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
আমের খোসা দিয়ে তৈরি চা: আমের খোসা গুলি লম্বা লম্বা করে কেটে জলের সেদ্ধ করে নিন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য দিতে পারেন লেবু অথবা মধু। এরপর চা পাতা ফুটিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন আমের খোসা দিয়ে তৈরি চা। এটি ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হয় বলে স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।
আমের খোসা দিয়ে তৈরি চাটনি: আমের খোসা গুলি সূক্ষ্ম করে কেটে এটি পাত্রে রাখুন। এরপর আদা, রসুন এবং কাঁচা লঙ্কা দিন। সঙ্গে দিয়ে দিতে পারেন প্রয়োজনীয় মসলা। এই চাটনিটি যে কোনও পকোড়া বা সিঙ্গারার সঙ্গে খেতে পারেন।
(আরো পড়ুন: মুখে দাড়ি-গোঁফ থাকায় টপারকে শুনতে হয়েছিল গঞ্জনা, এবার হল প্রাচীর ‘মেকওভার’)
আমের খোসা দিয়ে তৈরি জ্যাম: প্রথমে আমের খোসাকে চিনি এবং জল দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। ততক্ষণ সেদ্ধ করুন যতক্ষণ না এটি ঘন হয়ে যায়। এরপর যোগ করতে হবে এলাচ বা দারচিনি। এইভাবে বানিয়ে ফেলুন আমের খোসা দিয়ে তৈরি জ্যাম। এদিকে পেস্ট্রি বা কেকের সঙ্গে অনায়াসে খেতে পারেন আপনি।
আমের খোসার গুঁড়ো: আমের খোসাকে রোদে শুকানোর পর মিহি করে গুঁড়ো করে নিন। এই আমের গুঁড়োটি আপনি স্যুপ, কারিতে অথবা কোনও কিছু ম্যারিনেট করতে কাজে লাগাতে পারেন। এটি ব্যবহার করলে খাবারে গন্ধের অনুভূতি পাবেন আপনি।
খাবারে ব্যবহার করা ছাড়াও আমের খোসা মিহি করে গুঁড়ো করে আপনি স্ক্রাবার, শ্যাম্পু বা টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ত্বক এবং চুল হয়ে উঠবে মসৃণ এবং ঝকঝকে।