HT বাংলা থেকে সেরা খবর পড়ার জন্য ‘অনুমতি’ বিকল্প বেছে নিন
বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Relationship Problem: ‘কাকু নয়, অন্য লোকের সঙ্গে কাকিমাকে বিশ্রী অবস্থায় দেখে ফেলি! বন্ধুকে বলে দেব?’

Relationship Problem: ‘কাকু নয়, অন্য লোকের সঙ্গে কাকিমাকে বিশ্রী অবস্থায় দেখে ফেলি! বন্ধুকে বলে দেব?’

Relationship Problem: আপনাদের ব্যক্তিগত সমস্যা, সম্পর্কের সমস্যা— এসব সমস্যার উত্তর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ।

প্রতীকী ছবি।

আমি আর সৌগত (নাম পরিবর্তিত) ছোটবেলার বন্ধু। আমরা একসঙ্গে স্কুলে পড়েছি। বাড়িও কাছাকাছি। তাই আমাদের বন্ধুত্ব বেশ জোরদার। এখন আমরা দু’জনে দুই আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি। যোগাযোগ একই রকম আছে। বন্ধুত্বেও কোনও দূরত্ব তৈরি হয়নি। 

কিন্তু যে ঘটনার জন্য এই চিঠি লিখতে বসা, তা কিঞ্চিৎ অদ্ভুত। সেই ঘটনা আমি কখনও কাউকে জানাইনি। জানাতে পারিনি। ঘটনাটির সঙ্গে সৌগতর জীবন অনেকাংশেই জড়িয়ে। কিন্তু ওকেও আমি কখনও এই ঘটনার কথা বলে উঠতে পারিনি। মনের মধ্যে একটা খচখচানি নিয়ে আজও চলেছি। মাঝে মাঝে মনে হয় সৌগতকে কি বলে দেওয়া উচিত? সেই বিষয়টি জানতেই এই চিঠি।

ঘটনাটির কথায় আসা যাক। এটি আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগের কথা। তখন আমরা ক্লাস নাইনে পড়ি। আরও অনেক ছোটবেলা থেকেই সৌগতর বাড়িতে আমার যাতায়াত। আমি তো যেতামই, মাঝে মধ্যে আবার বাবা-মা’ও যেত। সৌগতর বাবা-মা, মানে আমি যাঁদের কাকু-কাকিমা বলে ডাকি, তাঁরাও আসতেন আমাদের বাড়িতে। 

কোনও কোনও রাতের বেলা ওদের বাড়িতে থেকে যেতাম। কখনও সৌগত থেকে যেত আমাদের বাড়িতে। শুধু যে গল্প বা আড্ডা দেওয়া, তা নয়— পড়াশোনা জন্যও অনেক সময়ে আমরা একসঙ্গে থাকতাম। 

এমনই একটি দিনের কথা। তার আগের সন্ধ্যায় সৌগত আমাদের বাড়িতে এল। আমরা একসঙ্গে পড়াশোনা করলাম। ওর চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরে আমরা ঠিক করলাম, একটু ভিডিয়ো গেম খেলব। তাই সব কিছু জোগাড় করে বসা হল। বেশ কিছু ক্ষণ খেলতে খেলতে এমন বুঁদ হয়ে গেলাম, কখন যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গিয়ে বুঝতেই পারলাম না। 

ঘোর কাটল, একটা ফোনে। সৌগতকে কাকিমা ফোন করেছেন। তখন বোধহয় বাজে রাত ১০টা মতো। উনি কি জিজ্ঞাসা করলেন জানি না, সৌগত আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘আমি কি আজ রাতে এখানে থেকে যাব?’ আমি বললাম, কেন নয়!

আমি তখনই ছুটলাম, আমার মাকে বলে দিতে, সৌগত রাতে থাকবে। ফলে খাবার বানাতে হবে। ফোনে সৌগত এবং কাকিমার কথার পরের অংশটা আমার আর জানা হয়নি। 

যাই হোক, সেই রাতে সৌগত আমাদের বাড়িতেই থেকে গেল। পরের দিন বোধহয় আমাদের স্কুল ছুটি ছিল। কারণ যত দূর মনে পড়ে, আমাদের স্কুলে যাওয়ার কোনও ব্যাপার ছিল না। খুব সম্ভবত সেটি ছিল রবিবার।

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে খেয়াল হল আমার একটা বই সৌগতর বাড়িতে রয়ে গিয়েছে। এবং সেদিনই সেই বইটা দরকার। আমি ওকে বললাম সে কথা। ও তখনও বিছানায় গড়াচ্ছে। আমায় বলল, ওর বাড়ি থেকে আমি যেন বইটা নিয়ে আসি। আমাদের দুই বাড়ির মধ্যে হাঁটা পথে ৭-৮ মিনিটের দূরত্ব। আমি বারবার বললাম, যেতে ইচ্ছা করছে না। কিন্তু সৌগত বলল, ও আরও কিছু ক্ষণ ঘুমোবে। আমিই বইটি নিয়ে আসি। 

সৌগতর কাছে ওর বাড়ির একটা চাবি থাকত। আমি ওর ব্যাগ থেকে সেই চাবি বার করে নিয়ে ওদের বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। রবিবার শীতের সকাল। রাস্তাঘাটে লোকজন কম। সৌগতদের দোতলা বাড়ি। আমি বাইরের দরজার চাবি খুলে ঢুকে পড়লাম। এই কাজ মাঝে মধ্যেই করতে হত। কারণ দোতলার বারান্দা থেকে অনেক সময়েই ও চাবি ছুঁড়ে দিত। ফলে দরজা কীভাবে খোলে, তা আমি ভালোই জানতাম।

এক তলায় কাকু-কাকিমা থাকতেন। দোতলায় সৌগতর ঘরে। আমি সোজা সিঁড়ি দিয়ে উঠে গেলাম দোতলায়। সৌগতর পড়ার ঘরের দরজা ভেজানো। আমি ঢুকে সেই বইটা খুঁজছিলাম। হঠাৎই পাশের ঘর, মানে যেটা সৌগতর শোওয়ার ঘর, সেখান থেকে গোঙানির আওয়াজ এল। বইটা তত ক্ষণে পেয়ে গিয়েছি। আওয়াজটা পেয়ে মনে হল, কেউ বুঝি ব্যথা পেয়েছে, তাই গোঙাচ্ছে। 

তাড়াতাড়ি সৌগতর পড়ার ঘর থেকে বেরিয়ে পাশের ঘরের দরজা খুলতে গেলাম। দরজায় ছিটকিনি ছিল না। খুলতেই, যা দেখলাম, তাতে আমি ঘাবড়ে গেলাম। দেখলাম, কাকিমা। সঙ্গে এক জন লোক। বোধহয় কাকু। তখন না বুঝলেও, এখন স্পষ্ট বুঝি, ওঁরা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছিলেন। আমি যে দরজা খুলে তাকিয়েছি, সেটা দু’জনের কেউই টের পাননি। আমিও আস্তে আস্তে আবার দরজা আগের মতো বন্ধ করে দিয়ে কেটে পড়লাম। বিষয়টি নিয়ে বেশ লজ্জা লাগল। কাকু এবং কাকিমাকে ওই অবস্থায় দেখা মোটেই উচিত হয়নি। 

এর পরে সৌগতদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাম বই হাতে নিয়ে। বেরোনোর সময়ে দরজা আগের মতো বন্ধ করে দিলাম। তালাও দিয়ে দিলাম। শুধু একটা কথা পরিষ্কার হল না, সৌগত না থাকায়, ওঁরা কেন ওর ঘরে শুয়েছিলেন। 

যাই হোক, এসব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে বাড়ি ফিরছি। হঠাৎ কানে এল একটা পরিচিত গলার স্বর। ‘কী রে কোথায় গিয়েছিলি?’ খানিক হতচকিত হয়ে গেলাম। কারণ তাকিয়ে দেখি, কাকু। মানে, সৌগতর বাবা। আমি যে সেই সকালে কত দূর হতবাক হয়েছিলাম, তা বলে বোঝাতে পারব না। ঘাবড়ে গিয়ে বলেছিলাম, সৌগতর একটা বই আনতে গিয়েছিলাম। তাতে দেখলাম, উনি খানিক বিরক্ত হলেন। কিন্তু কিছু বললেন না।

তার পর থেকে সবই আগের মতোই স্বাভাবিক থাকলেও, কোথাও যেন একটা খচখচানি রয়ে গেল। সৌগত এখনও একই রকম আছে। ওর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। কিন্তু কাকু-কাকিমা যেন সেদিনের পর থেকে আমায় একটু এড়িয়ে চলেন। মনের মধ্যে খচখচানিটা রয়েই গিয়েছে? কাকু কি সবই জানতেন? এমনও কি হয়? আমার কি কখনও সৌগতকে পুরোটা বলা উচিত? জানি না। তাই পরামর্শ চাইতে এই চিঠি।

বিশেষজ্ঞের জবাব:

সম্পর্কবিদ মৌমিতা গুপ্ত এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য:

আপনি এক ধরনের পারিবারিক জীবনে বড় হয়েছেন। সেটিই হয়তো আমাদের সমাজের বেশির ভাগ পরিবারের কাঠামো। সেভাবেই হয়তো বেশির ভাগ পরিবার চলে। খুব প্রচলিত কথায় যাকে বলা হয় ‘সুস্থ পারিবারিক সম্পর্ক’। কিন্তু এর বাইরে এমন বহু পরিবার আছে, যেগুলি আপনার চেনা কাঠামোর বাইরে গড়ে ওঠে। সে সব পরিবার সমাজের বেশির ভাগ পরিবারের মতো নয় বলেই, সেগুলিকে ‘অসুস্থ’ বা ‘অস্বাভাবিক’ পারিবারিক সম্পর্ক বলে দেগে দেওয়ার প্রবণতা অনেকের মধ্যেই আছে।

আপনার থেকে এই ঘটনার বিবরণ যতটা শুনলাম, তাতে আপনার বন্ধুর পরিবারটিও কিছুটা প্রচলিত কাঠামোর বাইরে বলেই আমার মনে হয়েছে। হতে পারে, আপনার বন্ধুর মায়ের কোনও এক জন প্রেমিক আছেন। হয়তো সেই সম্পর্কের কথা আপনার বন্ধুর বাবা জানেন। হয়তো সেই সম্পর্কের কথা তাঁরা বাইরে জানাতে চান না। কিন্তু নিজেদের মধ্যে তাঁরা ভালোই আছেন।

এমনটাও অস্বাভাবিক নয় যে, আপনার বন্ধুও হয়তো সেই কথা জানেন। তিনিও বিষয়টির সঙ্গে নিজের মতো করে মানিয়ে নিয়েছেন। বহু কিছুই হতে পারে। আবার নাও হতে পারে।

কিন্তু প্রশ্ন হল আপনি কী করবেন? আপনি কি এই ঘটনার কথা মনের মধ্যে চেপে রাখবেন? নাকি এত বছর আগের ঘটনাটি আপনার বন্ধুকে জানাবেন?

আচ্ছা, আপনার কখনও মনে হয়নি, সেই সকালে আপনার বন্ধু হয়তো ইচ্ছা করেই আপনাকে ওই বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন, যাতে আপনি নিজেও ঘটনাটা জানতে পারেন। এমনও তো হতেই পারে। 

তবে কি না, আপনার কথা থেকে মনে হয়েছে, আপনার বন্ধু পরে আর ওই দিনের কথা বা বাড়িতে আপনি যাওয়ার পরে কী হল, সে প্রসঙ্গ তোলেননি। ফলে এমনও হতে পারে, উনি কিছুই জানতেন না বা জানেন না।

ফলে পড়ে থাকে ওই একটি প্রশ্নই, আপনি আপনার বন্ধুকে জানাবেন কি না? 

কিছু কথা এমন থাকে, যা আমাদের নিজেদের পেটের মধ্যে নিয়েই জীবন শেষ করতে হয়। ধরে নিন না, এটিও তেমনই কিছু। আপনার খচখচানির কারণটি বেশ বোঝা যায়, কিন্তু একথাও তো মনে রাখা দরকার, যদি আপনার বন্ধু এদিনেও এ বিষয়ে কিছুমাত্র সন্দেহ না করে থাকেন, তাহলে তাঁকে আর নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলার কারণ কী? আর যদি জেনে গিয়ে থাকেন, তাহলে আর নতুন কোন কথা আপনি তাঁকে বলবেন?

তাই যেভাবে এতগুলো বছর কাটিয়ে ফেলেছেন, সেভাবেই আরও কয়েকটা বছর কাটিয়ে দিন। এই কথা গোপনেই থেকে যাক না হয়। 

 

টুকিটাকি খবর

Latest News

৬ বছরের ছোট শোভনের সঙ্গে প্রেম নিয়ে অকপট, বিয়ের কথা উঠতেই সোহিনী বললেন… কোরি অ্যান্ডারসনের সঙ্গে আমেরিকার জাতীয় দলে দুই 'ভারতীয়', জায়গা হল না উন্মুক্তের ভোটের আগেই জিতলেন মুখ্য়মন্ত্রী, অরুণাচলে খুশিতে ভাসছে বিজেপি আতঙ্কের নয়া নাম 'BIN অ্যাটাক', এই ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের মাথায় হাত KKR বধ করতে সবুজ পিচ তৈরি RCB-র, মাথায় হাত গম্ভীরের,কোন নাইট স্পিনার বাদ পড়বেন? ‘‌পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিলাম’‌, বিজেপিতে ফিরে মুকুল সাক্ষাতে অর্জুন ‘মোদী ভাঁওতাবাজ’! আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে নালিশ তৃণমূলের রাম নবমীর পরেই আসতে চলেছে হনুমান জয়ন্তী, জেনে নিন এই দিনের ধর্মীয় গুরুত্ব ফের চালু বাউড়িয়া-বজবজ ফেরি পরিষেবা, খুশি যাত্রীরা, বানের জলে ভেসে গিয়েছিল জেটি মেঘালয়ে CAA বিরোধী মিছিলের গণপিটুনিতে মৃত ২, প্রতিবাদে বিক্ষোভ কলকাতায়

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.