এবার থেকে ব্যাঙ্কে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন এলজিবিটিকিউ (লেসবিয়ান, গে, বাই, ট্রান্স, ক্যুয়ার) সম্প্রদায়ের নাগরিকরা। শুধু অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন তা নয়, এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের কাউকে নমিনি হিসাবে যুক্তও করতে পারবেন তাঁরা। গত বুধবার কেন্দ্রের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ওই একই বয়ানে বিবৃতি জারি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াও। এভাবেই সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষদের আরও মূলস্রোতের অংশ করে নেওয়া হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর সুপ্রিয়া চক্রবর্তী এবং অন্যান্যরা ভার্সেস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়ার মামলাটির রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট। গত ২৮ অগস্ট একটি বিবৃতি জারি করা হয় সেখানে বলা হয় এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের নাগরিকরা যৌথ ভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। শুধু তাই নয়, ওই একই সম্প্রদায়ের যে কোনও ব্যক্তিকে নমিনি হিসেবে মনোনীত করতে পারবেন অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা। কোনওভাবে যদি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের মৃত্যু হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে নমিনি হিসেবে বিবেচিত ব্যক্তি ওই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের জমানো যাবতীয় অর্থ রাশি পাবেন।
(আরও পড়ুন: 'বাঁচার জন্য কিছুই বেঁচে নেই'- বন্যায় ডুবল অডি সহ তিনটি গাড়ি, শোকে পাথর ব্যক্তি)
কেন্দ্রের আগে অবশ্য এই বিষয়টি নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। দেশের প্রত্যেক ব্যাঙ্ককে নোটিশ পাঠিয়ে আরবিআই-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের প্রত্যেক ব্যক্তিকে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দিতে হবে। ২০১৫ সাল থেকেই আরবিআই এই সুযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের প্রত্যেক ব্যক্তিকে ,যার জন্য অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন পত্রে মহিলা এবং পুরুষের পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গের বিকল্প রাখা হয়।
উল্লেখ্য, শুধু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা নয়, নতুন প্যান কার্ডও তৈরি করতে পারবেন এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের যে কোনও ব্যক্তি। যদিও প্যান কার্ড তৈরি করার ফর্মে তৃতীয় লিঙ্গের কোনও বিকল্প নেই, এই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের নজরে এনেছিলেন বিহারের এক রূপান্তরকামী সমাজকর্মী।
(আরও পড়ুন: ১,২০,০০০ কিলো টমেটো ছুঁড়ে, স্পেনে অনুষ্ঠিত বৃহত্তম টমেটো উৎসব! ছবিতে দেখুন)
বিহারের ওই রূপান্তরকামী সমাজকর্মীর করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই বিষয়ে কেন্দ্র বৃহস্পতিবার জানায়, প্যান কার্ড তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় নথি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে রূপান্তরকামীদের পরিচয় শংসাপত্র। রুপান্তরকামীদের পরিচয় শংসাপত্র ব্যবহারে কোনও নীতিগত আপত্তি নেই।