রোজ কাজ করার জন্য শক্তি প্রয়োজন। খাবার থেকেই আমরা সেই শক্তি পায়। কিন্তু অনেক সময় যথেষ্ট খাওয়াদাওয়া করলেও কাজের সময় শরীর দুর্বল লাগে। কাজের চাপ বাড়লে মন পালাই পালাই করে। এক একটা সময় পরিস্থিতি এমন অসহ্য লাগে, যে মনের উপরেও তার প্রভাব পড়ে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। বয়স বাড়লে নানা রকম রোগেও ধরতে শুরু করে। তার মধ্যে একটি বড় রোগ হল ডায়াবিটিস। এই সময় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।
তবে প্রতিদিনের খাবারেই এর সমাধান লুকিয়ে রয়েছে। রোজ কতটা খাচ্ছেন সেটা আসল নয়। বরং খাবারে কী কী পুষ্টিগুণ থাকছে, সেদিকে নজর দিতে হবে। ঠিক ঠিক পুষ্টি উপাদান পেলে মেটাবলিক স্বাস্থ্য বেশ ভালো থাকে। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রাও আর বাড়ে না। একইসঙ্গে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিও পাওয়া যায়।
১. মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট: প্রতিদিনের খাবারে ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি থাকা জরুরি। এগুলো রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি শরীরে পুষ্টিও জোগায়।
২. ফাইবার: অধিকাংশ রোগের সমাধান লুকিয়ে থাকে ফাইবারে। পেট ভালো রাখতে ফাইবার খাওয়া একান্ত জরুরি। এছাড়া এটি খুব ধীরে ধীরে সংশ্লেষিত হয়। ফলে রক্তে শর্করা আর ইনসুলিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৩. বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: ডায়াবিটিস রোগীদের মধ্যে মুডের সমস্যা দেখা যায়। অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক চাপ থেকে মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মন ও দেহের চাপ কমাতে সাহায্য করে। স্ট্রেস কমিয়ে এটি মুড ভালো রাখে।
৪. ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড: মেটাবোলিজম বাড়াতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। মেটাবলিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে রক্তে শর্করা সহজে বাড়তে পারে না।
৫. প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার: আমাদের অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া খাবার হজম করায়। প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খেলে সেই ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ে। এর ফলে খাবার হজম হয় ও প্রদাহ কমে।
৬. পরিশ্রুত কার্বোহাইড্রেট ও চিনি: পরিশ্রুত কার্বোহাইড্রেট আর চিনি শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। এই ধরনের খাবার একদম এড়িয়ে চলা উচিত।
৭. খাবার খাওয়ার সময়: খাবার খাওয়ার সময় ঠিক রাখা মেটাবলিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব জরুরি। অসময়ে খাবার খেলে শরীরে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। যার থেকে রক্তে শর্করা বাড়ে।