মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি থেকে বন্ধ হয়ে গেল ওড়িশার জাতীয় উদ্যান। বার্ষিক কুমির এবং পরিযায়ী পাখি গণনা করা হবে ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া জেলার ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যানে। সেই কারণেই মঙ্গলবার থেকে নয় দিনের জন্য বন্ধ থাকবে ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যান বলে খবর।
এই ন্যাশনাল পার্কে কুমির এবং পাখির সংখ্যা, এখানকার খাল, নদী, জলাভূমি এবং ম্যানগ্রোভ বনের হিসাব রাখার জন্য এই সেনসাস নিয়মিত করা হয়। সেনসাস বা শুমারি চলাকালীন যাতে কোনোরূপ অসুবিধার সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: (Pongal ready Half Saree: ফ্যাশন ট্রেন্ডে নজরকাড়া 'হাফ শাড়ি', পোঙ্গলের দিনে জানুন কী এই বিশেষ পোশাক)
কীভাবে চলবে সেনসাস
একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, পার্ক এবং এর আশেপাশের এলাকায় খাঁড়ি, নদী, জলাভূমি সাইট এবং ম্যানগ্রোভ বনগুলিতে কুমির এবং পাখি গণনা করার জন্য বেশ কয়েকটি দল গঠন করা হয়েছে। কর্মকর্তারা ব্যাখ্যা করেছেন যে দর্শনার্থী সহ মানুষের কার্যকলাপ গণনা প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। তাই যে কোনও হস্তক্ষেপ এড়াতে, পার্কটি ২২ জানুয়ারী পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বন্ধের ফলে শব্দ দূষণও রোধ করা সম্ভব, যা কুমির গণনা করা আরও সহজ করে তুলবে।
সহকারী বন সংরক্ষক মানস দাসের মতে, সেনসাস চলাকালীন পরিবেশ শান্ত রাখার জন্য পার্ক বন্ধ রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ভিতরকণিকা ভারতের ৭০% নোনা জলের কুমিরের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। ১৯৭৫ সাল থেকে এই পার্কে কুমিরদের সংরক্ষণ শুরু হয়েছিল। সর্বশেষ গণনায় ভিতরকণিকা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে মোট ১,৮১১টি নোনা জলের কুমিরের অস্তিত্ব রেকর্ড করা হয়েছে। ওড়িশার অন্য কোনও কোথাও এই কুমির পাওয়া যায় না।
আরও পড়ুন: (Kapil Muni: কে ছিলেন কপিল মুনি? কেনই বা শাপ দেন রামের পূর্বপুরুষকে)
বলা বাহুল্য, ওড়িশা রাজ্য বন বিভাগের সংরক্ষণ প্রচেষ্টা সফল হয়েছে, কারণ বছরের পর বছর ধরে কুমিরের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। কুমির ছাড়াও, পার্কটি পরিযায়ী পাখিদের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। শীতের মাসগুলিতে এই পাখিরা এখানে আসে। তাই বন কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা পর্যবেক্ষণ এবং তাদের সংরক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য এই গণনা অপরিহার্য।