বর্ষাকাল এলেই কেমন মনটা সমুদ্র সমুদ্র করে তাই না! আসলে বৃষ্টিতে ভেজার মজা তো সেই কবে থেকেই নিয়ে এসেছি আমরা। ছোটবেলা স্কুল থেকে ফেরার পথে মাথার উপর থেকে ছাতা সরিয়ে চুপচুপে ভিজে বাড়ি ফেরার আনন্দ নেননি এরকম মানুষ পাওয়াই দায়। আর তাই বর্ষা এলেই যেন সেই স্মৃতিরা হাতছানি দিতে শুরু করে। আর সেই আনন্দই ফের নিতে পারবেন বর্ষায় সমুদ্রের ধারে গেলে।
এবার চলুন বলে দেই কোন সি-বিচের কথা আজ আপনাদের বলব। নাম তার বাদগা। ওড়িশার বালাসোরের কাছে অবস্থিত এই সি-বিট। পর্যটন মানচিত্রে এর আবির্ভাব হয়েছে সবেমাত্র। তাই এখানে আপনি দীঘা-পুরীর মতো ভিড় একেবারেই পাবেন না। প্রায় ভার্জিন একটা বিচ বললেই চলে।
আরও পড়ুন: গলা কাটা ভূত দেখাও হবে, পাহাড়ের কোলে থাকাও! যান কার্শিয়াংয়ের ডাওহিলে
আর যেহেতু এখনও সেরকম পর্যটকের সমাগম হয়নি এখানে, তাই এখানে বিলাসবহুল থাকার জায়গা পাবেন না সেরকম। সিবিচের ধারের ঝাউ গাছের জঙ্গলে রয়েছে টেন্টের ব্যবস্থা। পাবেন ক্যাম্প। কিছু ক্যাম্পে আছে কুলারও। একদম একটা আলাদা অভিজ্ঞতা হবে এখানে এলে। এদের পক্ষ থেকে বোটে করে ঘোরার সুযোগ পাবেন সমুদ্রে। তবে ক্যাম্প বুকিংয়ের সময় ফোনে সে বিষয়ে কথা বলে নেবেন। রাতে করতে পারবেন বনফায়ারও। আগে থেকে বলে রাখলে বারবিকিউর ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে।
সবথেকে ভালো হল এখানে আপনি খুব আরামে সমুদ্র স্নানের মজা নিতে পারবেন। বেশ ফাঁকা ফাঁকা সমুদ্রে একদম অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা হবে আপনাদের। সি-বিচ ভরে আছে লাল কাঁকড়ায়। তবে যেই আপনার পায়ের আওয়াজ পাবে, ওরা ঢুকে যাবে বালিতে। এই বিচ থেকে সূর্যাস্তের রূপও অসাধারণ। বিশেষ করে বন্ধুদের সঙ্গে উইকেন্ড ট্যুরের প্ল্যান করতে চাইলে এই জায়গা আদর্শ আপনার জন্য।
আরও পড়ুন: দীঘা-পুরী একঘেয়ে লাগলে চলুন গোপালপুর-সোনাপুরে, নির্জন সমুদ্রের মজা নিন চেটেপুটে
কীভাবে যাবেন:
হাওড়া বা সাঁতরাগাছি থেকে ট্রেনে চলে আসুন বালাসোরে। সেখান থেকে অটো পেয়ে যাবেন বাগদা বিচে যাওয়ার। একটা কিংবা দুটো রাত আরামসে কাটিয়ে ফএলতে পারবেন এখানে।