চিনে বিধিনিষেধ শিথিল করার পর নতুন করে ওমিক্রনের থাবা সারা বিশ্বকেই ভাবাচ্ছে। রোজই সংকর্মণের হার বাড়ছে সে দেশে। এমনকী একই ভাইরাসে আক্রান্ত বেশ কয়েকজন রোগীর দেখা মিলেছে ভারতেও। এই ব্যাপারে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক অযথআ আতঙ্ক করতে নিষেধ করেছেন। তবে, ভাইরাসের লক্ষণ ও ছড়ানোর গতিপ্রকৃতি কোভিড বা আগের ওমিক্রনগুলির তুলনায় যথেষ্ট দ্রুত। চিনকে নতুন ভাইরাস ওমিক্রন বিএফ.৭ সম্পর্কে তথ্য গোপন না করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ওমিক্রন বিএফ.৭ কি কোভিড বা ওমিক্রনের তুলনায় বেশি ক্ষতিকর?
অভ্যন্তরীণ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দীপক ভার্মা জানাচ্ছেন, ওমিক্রনের নতুন রূপটি নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। এই চিন্তা সম্পূর্ণ অমূলক নয়। কারণ এই ভাইরাসটি আগের ভাইরাসগুলির তুলনায় অনেক দ্রুত ছড়ায়। এমনকী রোগ লক্ষণ ফুটে ওঠার আগেই বড় সংখ্যার মানুষ আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারেন। এর ফলে অসাবধান হলে সংক্রমণের হার অনেকটাই বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কোভিডের কাশি বুঝবো কী করে?
কোভিড বা ওমিক্রনের বেশ কিছু লক্ষণের মধ্যে অন্যতম হল কাশি। তবে সাধারণ কাশির তুলনায় কোভিডের কাশির প্রকৃতি কিছুটা আলাদা। কাশির এই লক্ষণগুলি থাকলে অবহেলা করা মোটেই উচিত নয়।
- শুকনো কাশি: কোভিডের কাশি সাধারণত শুকনো কাশি হয়। মিউকাসের পরিমাণ কম হয় বলে এমনটা হয়। চিকিৎসকদের কথায়, এই ধরনের কাশইর সঙ্গে বুকে টানটান ভাব ও শ্বাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। দুদিনের বেশি এমন কাশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
- ক্লান্তি: কোভিড গোত্রের ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কাশির সঙ্গে ক্লান্তিও বাড়তে থাকে। কোভিড সংক্রমণে শরীর খুব তাড়াতাড়ি দুর্বল হতে থাকে। সাধারণ কাশি হলে এমন লক্ষণ দেখা দেয় না। শুধু তাই নয়, কোভিডের কাশিতে রাতে ঘুমোতেও সমস্যা হয়।
- নাক থেকে জল পড়া: কোভিডের কাশির সঙ্গে নাক থেকে জল পড়া, গলা ব্যথার মতো লক্ষণও ফুটে ওঠে। এই সময় হালকা থেকে প্রচণ্ড জ্বর আসতে পারে। প্রথমদিকে লক্ষণগুলি মৃদু থাকলেও পরে গুরুতর হতে থাকে।
- মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়ানো: হঠাৎ করেই কাশি শুরু হয়েছে। ঠান্ডা না লাগতেই দেখা দিয়েছে এই সমস্যা।এমন কাশি সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। মাস্ক ছাড়াই অনেকে পথে ঘাটে ও জনবহুল এলাকায় ঘুরে বেড়ান। সেই থেকেই ছড়াতে পারে সংক্রমণ।