দ্রুত গতিতে ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ছে। শুধু প্রাপ্তবয়স্করা নন, শিশু-কিশো-কিশোরীরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছে। সেই কারণেই করোনার এই রূপটা নিয়ে প্রথম থেকেই উদ্বগে বিজ্ঞানীরা। সেই কারণেই বিভিন্ন ছোটদেরও করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওমিক্রন কতটা ভয়ের? ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণা এ বিষয়ে আশার আলো দেখিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরে হংকংয়ে করোনার এই স্ট্রেনটি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। তাতে দেখা যায়, ফুসফুসে হাওয়া ঢোকার পথে ওমিক্রন অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বংশবিস্তার করে। ডেল্টা বা করোনার অন্য রূপের তুলনায় প্রায় ৭০ গুণ বেশি গতিতে এটি ছড়িয়ে পড়ে। সেই কারণেই এটিকে মারাত্মক সংক্রামক বলে দাবি করা হয়েছিল।
হালে সেই হংকংয়ের বিশেষজ্ঞ দলটিই দেখিয়েছে, ফুসফুসে হাওয়া ঢোকার পথে দ্রুত বৃদ্ধি হলেও, ফুসফুসের ভিতরে ওমিক্রনের ছড়িয় পড়ার হার কমে যায়। সেখানে ডেল্টা বা করোনার অন্য রূপগুলোর তুলনায় ১০ ভাগের এক ভাগ গতিতে এটি ছড়ায়। সেই কারণেই ধরে নেওয়া হচ্ছে, এর ক্ষতির পরিমাণ তুলনায় কম।
হংকংয়ের গবেষকদের এই দাবিকে মান্যতা দিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানীরাও। তাঁরাও একই জিনিস প্রমাণ করতে পেরেছেন। তাই ইংল্যান্ডে সরকারি ভাবেই জানানো হয়েছে, ওমিক্রন সংক্রমণে ক্ষতির মাত্রা কম।
তবে করোনার এই রূপটি যে সহজেই শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের আক্রান্ত করছে, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। তবে কমবয়সীদের মধ্যে যাঁরা জটিল কোনও অসুখে ভুগছেন, তাঁরা বাদ দিয়ে বাকিদের ওমিক্রন খুব একটা কাবু করতে পারবে না বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু যাঁরা ইতিমধ্যেই অন্য জটিল অসুখে ভুগছেন, যাঁদের অনেক বয়স হয়েছে এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা রয়েছে— তাঁদের ক্ষেত্রে ওমিক্রনও মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। এমনই বলছেন বিজ্ঞানীরা।
তাই ওমিক্রন নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন হওয়ারও যেমন দরকার নেই, তেমনই এটাকে হাল্কা চালে নেওয়ার কোনও অর্থ নেই। এমনই মত বিজ্ঞানীদের।