ইদানিং অনেকেই জ্বর হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন। এতদিন করোনা পরিস্থিতিতে ভয় তো ছিলই। এখন আবার যোগ হয়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ভয়। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন ওমিক্রন হয়েছে কিনা?
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে এখনও অনেক কিছুই অজানা। তবে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরাই বলছেন, নতুন স্ট্রেনের উপসর্গগুলি কোভিডের পরিচিত লক্ষণগুলির থেকে কিছুটা আলাদা।
আমেরিকান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, কোভিড-এর নতুন সুপার মিউট্যান্ট স্ট্রেনে সংক্রমিত ব্যক্তিদের কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে একটাই বেশ কমন। তা হল গলাব্যথা।
আরও পড়ুন : Airtel: মাসে ৯৯ টাকা দিলেই আপনার বাড়ি পাহারা দেবে এয়ারটেল
ওমিক্রনের কিছু লক্ষণ:
১. গলাব্যথা
২. ক্লান্তি
৩. মাথাব্যথা
৪. হালকা জ্বর
৫. গায়ে, হাত, পায়ে ব্যথা
৬. শুকনো কাশি
সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশের নামজাদা চিকিৎসক এবং ফুসফুস-বিশেষজ্ঞ মনোজ গোয়েল বলেছেন, শুধুমাত্র শ্বাসযন্ত্র নয়, ওমিক্রন শরীরের অন্য অঙ্গেও একই রকম ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এই তালিকায় একেবারে প্রথমেই রয়েছে পেট। তাঁর কথায়, ‘ওমিক্রন সংক্রমণ হলে অনেকেরই পেটব্যথা, বমি, বমি-বমি ভাব, খিদে কমে যাওয়া, পেটের গণ্ডগোলের মতো সমস্যা হচ্ছে। তার কারণ ওমিক্রনের জীবাণু সরাসরি পেটের মিউকাসের উপর প্রভাব ফেলছে।’
অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেলে যদিও ভীতিকর রকমের কোনও বড় ড্রপ নেই। তুলনামূলকভাবে ভারতে গত বছর সেকেন্ড ওয়েভের সময় রোগীদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন তীব্র হারে হ্রাস পাচ্ছিল। এর কারণ হল, ওমিক্রন সেভাবে ফুসফুসে আক্রমণ করছে না। এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণে এমনটাই জানা গিয়েছে। নতুন স্ট্রেনে সংক্রামিত রোগীদের স্বাদ বা গন্ধের অনুভূতি নষ্ট হচ্ছে না। এর আগের অন্যান্য স্ট্রেনে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এটিই ছিল অন্যতম পরিচিত লক্ষণ।
ফলে এই লক্ষণগুলি থাকলে অবশ্যই করোনা টেস্ট করান। সেই সময়টুকু সকলের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। চিকিত্সককেও এই লক্ষণগুলি থাকলে তা উল্লেখ করতে ভুলবেন না।