ওমিক্রনের জীবাণু সংক্রমণ ঘটালে তেমন ভাবে কোনও উপসর্গ দেখা দেয় না অনেকের ক্ষেত্রেই। ওমিক্রন সংক্রমণ হলে আইসোলেশনের সময়সীমা তাই বহু জায়গাতেই কমানো হচ্ছে। কোভিড সংক্রমণের গোড়ার দিকে যেখানে আইসোলেশনের সময়সীমা ছিল ন্যূনতম ১০ দিন, তা ওমিক্রনের ক্ষেত্রে অনেক জায়গাতেই হয়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দিন। হালে ইংল্যান্ডে তা নেমে এসেছে ৫ দিনে। কিন্তু এটি কি ঠিক?
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের কয়েক জন বিজ্ঞানী ওমিক্রনের জীবাণু মানুষের শরীরে কীভাবে এবং কত সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে, তা নিয়ে গবেষণা করেছেন। দেখা গিয়েছে, এই জীবাণু সবচেয়ে বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে পাঁচ দিনের মাথায়।
কিন্তু আইসোলেশনের সময়সীমা কমানো হচ্ছে কেন? বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেহেতু ওমিক্রনে উপসর্গের পরিমাণ কম, তাই অনেকেই ভাবছেন, এটির জীবাণু আর শরীরে নেই। ফলে তারা আইসোলেশনে থাকতে চাইছেন না। এটি বিপদ ডেকে আনছে। এছাড়া সামাজিক চাপও আছে। আইসোলেশনে থাকার ফলে কমছে আয়। আর সেই কারণেই যত দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যায়, তার চেষ্টা করছেন সকলেই।
কিন্তু এটি মোটেই ঠিক সিদ্ধান্ত নয়। তেমনই বলছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের কথায়, কোভিডের জীবাণু যেহেতু ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করে, তাই পাঁচ দিন আইসোলেশন মোটেই কোনও কাজের কথা নয়।
ওমিক্রন সংক্রমণ হলে কী করবেন না?
বিজ্ঞানীদের মতে, আপনার শরীরে যদি উপসর্গ সেভাবে দেখা নাও দেয়, তাহলেও দ্রুত আইসোলশেন থেকে বেরিয়ে পরিবারের বাকিদের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করবেন না। ১০ দিন অন্তত আইসোলেশনে থাকা ভালো। আর এমন কোনও মানুষের সামনে এই সময়ে যাবেন না, যাঁর জটিল অসুখ রয়েছে। ক্যানসার আক্রান্ত বা ডায়াবিটিসের রোগীদের কাছে যাওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন। কারণ আপনার কারণে তাঁদের সমস্যা বাড়তে পারে।