এখন কোভিড নিয়ে ভয় অনেকটাই কেটে গিয়েছে। টিকাকরণ এবং সংক্রমণ থেকে পাওয়া রোগ প্রতিরোধ শক্তির কারণে এখন গোটা পৃথিবীতেই বহু মানুষ কোভিডের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পেয়ে গিয়েছেন। ফলত আবার জনজীবন আস্তে আস্তে আগের অবস্থায় ফিরছে।
যদিও এই পরিস্থিতিতে একেবারে থেমে নেই কোভিডও। সেও বদলাচ্ছে নিজের রূপ। কোভিডের শেষতম রূপ ওমিক্রনও হালে নিজের রূপ বদলেছে। ফলে ওমিক্রন সংক্রমণের উপসর্গগুলিও বদলাচ্ছে। এমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত ওমিক্রন BA.5 সংক্রমণের উপসর্গের ধরন অনেকটাই বদলে গিয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
কেন ওমিক্রন অন্য রূপগুলির থেকে আলাদা?
করোনার এই রূপটি সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, এর গড়ন অন্য রূপগুলির থেকে আলাদা। এমনকী সব ধরনের টিকা এই রূপটির বিরুদ্ধে দারুণভাবে কার্যকর কি না, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে বিভিন্ন মহলে। করোনার পূর্বতন রূপগুলিতে আক্রান্ত হলেও যে সেই রোগ প্রতিরোধ শক্তি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে খুব একটা কার্যকর হবে, এমন কথাও বলা যাচ্ছে না। তাই ওমিক্রন নিয়ে গোড়া থেকেই নানা ধরনের ধোঁয়াশা রয়েছে।
ওমিক্রনের নতুন উপসর্গগুলি কী কী?
আগে ওমিক্রনের ফলে কারও কারও ক্ষেত্রে গন্ধের বোধ কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা যেত। কিন্তু হালে এগুলি আর বিশেষ দেখা যাচ্ছে না। বরং নতুন যে উপসর্গগুলি দেখা যাচ্ছে, সেগুলি হল:
- গলাব্যথা, গলা ভেঙে যাওয়া। এটিই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে।
- মাথাব্যথা। মাথার দু’পাশে ব্যথা হচ্ছে। তিন দিন পর্যন্ত থাকতে পারে এই ব্যথা।
- নাকবন্ধ হয়ে যাওয়া।
- কাশি এবং তার সঙ্গে মিউকাস উঠে আসা।
- এছাড়াও কয়েকটি উপসর্গ সব সময়েই দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে সর্দি, গলাভাঙা, হাঁচি, ক্লান্তি, মাথাঘোরা, পেশির ব্যথা, জ্বর, খিদে কমে যাওয়া আর পেটের সমস্যা।
ওমিক্রনে আর কী নতুন?
হালের সমীক্ষা বলছে, ওমিক্রনের ইনকিউবেশন পিরিয়ডও অন্য রূপগুলির তুলনায় কমে গিয়েছে। অর্থাৎ একবার ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার পরে উপসর্গ দেখা দেওয়ার মধ্যে যে ব্যবধানকাল সেটি কমেছে। ২০১৯ সালে উহানে যে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল, তার ইনকিউবেশন পিরিয়ড ছিল ৫.২ দিন। আল্ফা রূপের ক্ষেত্রে তা কমে হয়েছিল ৫ দিন। বিটার ক্ষেত্রে তা ৪.৫ দিন। ডেল্টায় তা কমে দাঁড়ায় ৪.৪১ দিন। এবার ওমিক্রনের ক্ষেত্রে সেটিই হয়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৪২ দিন।