একদিকে খুলে গিয়েছে স্কুল। অন্যদিকে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট এসেছে বাজারে, যা আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সবসময়ই মনে করা হয় কোনও রোগের নতুন ভেরিয়েন্ট আগেরগুলির থেকেও শক্তিশালী। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন বয়ষ্ক ও বাচ্চাদের সংক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, তাই বেশি সাবধানতা অবলম্বন করাও দরকার।
বাচ্চাদের মধ্যে করোনার লক্ষণগুলি কী কী?
সাধারণত বাচ্চাদের মধ্যে করোনার লক্ষণগুলি খুব সামান্য হয়ে থাকে, যার ফলে ঠান্ডা লাগার সঙ্গে পার্থক্য করা একটু মুশকিল হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ শিশুর ক্ষেত্রেই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে না, তবে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে বাড়াবাড়ি হয়ে হার্ট, লাংস, লিভার, কিডনিতে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখলেই সাবধান হয়ে যান--
জ্বর: শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, বিশেষ করে পিঠ ও বুকের।
একটানা কফ, বিশেষ করে শুকনো: একাটানা কাশি হওয়া, বিশেষ করে তা যদি শুষ্ক হয়, তবে সাবধান হয়ে যান। আরও পড়ুন: বুস্টার ডোজ নেওয়ার ফলে হার্ট ব্লক! ভয়ের কারণ আছে কি? কী বলছেন বিজ্ঞানীরা
স্বাদ ও গন্ধ: বড়দের মতো করোনার সময় অনেক বাচ্চাদেরই স্বাদ আর গন্ধ চলে যায়।
খিদে না পাওয়া: অনেকেরই খাবারের প্রতি একটা অনীহা তৈরি হয় করোনার সময়তে।
গলা ব্যথা: করোনার হলে গলা ব্যথা, গলা চুলকুনো একটু বেশিই হয়। তাই সাবধান থাকা ভালো।
ডায়রিয়া: করোনায় পেট খারাপ একটা স্বাভাবিক লক্ষণ। তাই জ্বরের সময় পেট খারাপ হলে একবার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিন।
গা হাত পায়ে ব্যথা: শরীরে ব্যথাও হয় করোনার সময়তে। তাই এরকম লক্ষণ দেখা দিলেও খুব সাবধান।
শ্বাস নিতে না পারা: শ্বাসকষ্ট হচ্ছে বুঝতে পারলে তখনই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
এই উপকরণগুলির একটি বা দু'-তিনটি একসাথে দেখা দিলেই আপনার পারিবারিক ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। সাথে বাচ্চা একটু বড় হলে তাঁকে আলাদা রাখুন। আর বাচ্চা ছোট হলে তাঁকে বাড়ির বয়ষ্ক সদস্যদের থেকে আলাদা রাখুন।