Kolkata International Bookfair: ৪৮ তম আন্তর্জাতিক বইমেলাকে ঘিরে গত ২৮ শে জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়ে গেছে পাঠকদের আনাগোনা। চলবে আগামী ৯ ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে বইপ্ৰিয়দের অনেকেরই দাবি বইমেলা এবছর বেশ খাপছাড়া। বাংলাদেশের স্টল নেই, মুক্তমঞ্চও তৈরি করা হয়নি। সেই আগুনে ঘি পড়লো চিত্রশিল্পীদেরও বসতে না দেওয়াতে।
কয়েকবছর ধরে নানারকম টালবাহানা করে তাদের উঠিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করেছে গিল্ড কিন্তু এবছর বসতেই দেওয়া হয়নি। এমনটাই বলছেন তারা।
অনেকের মতে, চিত্রশিল্পীরা বসার ভাড়া দেন না বলেই তাদেরকে তুলে দেওয়ার এই চক্রান্ত। কিছু মানুষ এও বলছেন যে, আর জি করের ঘটনা কেন্দ্রীক বিতর্ক এড়াতেই নাকি এই পদক্ষেপ। চিত্রশিল্পী ও লিটল ম্যাগাজিন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক মুন্না আহমেদ জানালেন, এ বছর তাদের বসতে দেওয়া হবে না। এমনই একপ্রকার আভাস পেয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন - যত দোষ ডাক্তারদের, মেদিনীপুরে রোগী মৃত্যুতে স্যালাইন সংস্থাকে ক্লিনচিট রাজ্যের
চিত্রশিল্পীরা প্রায় ৪০ বছর ধরে বইমেলার সঙ্গে জুড়ে আছেন এবং জিনিসপত্রের চড়া দামের এই বাজারে আর্থিকভাবে তারা এমনিতেই ধুঁকছেন। তাই গিল্ডের এই পদক্ষেপে তারা আরও বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলেই আশঙ্কা করছেন।
গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চিত্রশিল্পী, হস্তশিল্পীরা বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ম মানতে চান না। অসাবধানতার কারণে গত বছর সেখানে আগুন লেগেছিল। এর পক্ষান্তরে মুন্নার বক্তব্য - তাদেরকে অন্যের থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হয়, যেটা হুকিং নয়। যে পরিমাণ আলো তাদের দেওয়া হয় তাতে ছবি আঁকা সম্ভব নয় এবং' গত বছরের যে অগ্নিকাণ্ডের দোহাই দেওয়া হচ্ছে তাতে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। গাছের শুকনো পাতা থেকে আগুন ধরেছিল।'
সহযোগে মুন্না এও জানাচ্ছেন, আর জি কর কান্ড নিয়ে অগত্যা শিল্পীরা ছবি আঁকেন, সেই বিতর্ক এড়াতেই মুক্তমঞ্চ না করার পাশাপাশি শিল্পীদেরকেও বসতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও তারা আগেই জানিয়েছিলেন, আর জি কর-কান্ড বিষয়ক ছবি আঁকা নিয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই।
আরও পড়ুন - জানা গেল দত্তপুকুরে মুণ্ডহীন দেহের পরিচয়, ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন দাগি দুষ্কৃতী
কোনো নামোল্লেখ না করেই ত্রিদিব বলছেন, এমন কোনো কিছুই প্রচার করা যাবে না, যা প্রচার পেলে অন্য দিকে নজর ঘুরে যাবে। আগামী দিনেও এই নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
তবে কি কোথাও সাধারণ মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করা হচ্ছে? একাধিক অনুনয় ও অভিযোগের তীর উঠে আসার পরেও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরে ত্রুটি থাকলে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।