খাতায় কলমে ৯ ঘণ্টার ডিউটি। কিন্তু কাজের চাপে অনেকেই ১০-১১ ঘণ্টা কাজ করেন। সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে, চাকুরিজীবীদের সকলেরই এমন অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু তাই বলে একজন পাইলট যদি এর প্রতিবাদ করেন? মাঝপথে বলে বসেন, 'আর প্লেন চালাতে পারব না। আমার ডিউটি আওয়ার শেষ!' কী কাণ্ড হবে বলুন তো? এমনটাই হল বাস্তবে। সৌজন্যে এক পাকিস্তানি বিমান চালক।
সৌদি আরবের রিয়াধ থেকে ইসলামাবাদ আসছিল পাকিস্তানের সরকারি বিমান সংস্থা পিআইএ-এর ফ্লাইট পিকে-৯৭৫৪। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে সৌদির দাম্মামে জরুরি অবতরণ করতে হয়। এর বেশ কিছু সময় বাদে আবহাওয়া ভাল হয়। বিমান নিয়ে ফের ওড়ার সুযোগ মেলে।
কিন্তু বেঁকে বসেন পাইলট। 'আমার শিফট শেষ,' সাফ জানিয়ে দেন তিনি। এদিকে যাত্রীরা বিমানে বসে থেকে থেকে অধৈর্য্য হয়ে যান। শেষমেশ পরিস্থিতি সামাল দিতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীরা আসেন। এয়ারপোর্টে যাত্রীদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
পুরো বিষয়টিতে কার্যত চাপে পাকিস্তানের সরকারি বিমান সংস্থা। যদিও সামাল দিতে অন্য কথা বলছেন তাঁরা। পিআইএ-এর এক মুখপাত্র বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে পাইলটদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন। আমরা অন্য ব্যবস্থা করেছি। ওই যাত্রীদের নিয়ে ওইদিন রাতেই বিমান ইসলামাবাদ পৌঁছেছে।
পাইলটরা সাধারণত ঘণ্টা হিসাবে বেতন পান। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট নূন্যতম শিফটও থাকে।