১৯৭১ সালে প্রথম শুরু হয় এই কালী পুজো। দক্ষিণ কলকাতার বৈষ্ণবঘাটা এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় এই পঞ্চকালী। দীর্ঘ দুই বছরের করোনা অতিমারির পর এবার ফের আরেকবার পুরোনো আদলে সজ্জিত হতে শুরু করেছে উৎসবের দিনগুলো। একইভাবে বৈষ্ণবঘাটা অঞ্চলের পঞ্চকালী পুজোও এই বছর খানিক বাতাস পেয়েছে।
বৈষ্ণবঘাটা উদয় সঙ্ঘ পঞ্চকালী কমিটির সেক্রেটারি অভিষেকবাবুর মতে, কালী পুজোর উদ্বোধন হয় ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মহারাজের ভাষণের মধ্যে দিয়ে। এছাড়াও এই পাঁচ দিন ধরে একাধিকরকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন পুজোর উদ্যোক্তারা। ক্লাবের সদস্যদের নাটক থেকে বিশিষ্ট শিল্পীদের গানের অনুষ্ঠান। এই পাঁচটি দিন জমজমাট থাকে বৈষ্ণবঘাটা অঞ্চল।
এই পুজোর বৈশিষ্ট্য হল, এখানে দেবী শ্যামার সঙ্গে পূজিত হন ভদ্রকালী, বরাহী, চন্দ্রঘণ্টা এবং চামুণ্ডা।
অভিষেক বাবু আরো জানান, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে তাঁদের এই পুজো আনন্দলোক সম্মান পেয়েছেন। ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯-এ তাঁরা দক্ষিণ কলকাতা সেবা ও সাংস্কৃতি উৎসব তরফ থেকে এই টানা তিন বছর শ্রেষ্ঠ পুজোর সম্মান পেয়েছেন।
পুজো বাদেও এই বৈষ্ণবঘাটা উদয় সঙ্ঘ একাধিক সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। করোনা কালে অক্সিজেন এবং অ্যাম্বুলেন্স সাপ্লাই থেকে ঔষুধ পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিল এই ক্লাব।