এখনকার মতো সেরে যাচ্ছে করোনা। কিন্তু এর প্রভাব থেকে যাচ্ছে শরীরে। একেই ‘লং কোভিড’ বলছিলেন বিজ্ঞানীরা। সেই লং কোভিডের প্রভাব শিশুদের শরীরে কেমন, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই গবেষণা চলছে। হালে সেই সেই গবেষণায় উঠে এল নতুন তথ্য যা রীতিমতো উদ্বেগের মধ্যে ফেলেছে বিজ্ঞানীদের।
হালে JAMA Pediatrics জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এটি গবেষণাপত্র। সেই গবেষণাটির জন্য বিজ্ঞানীরা ২৫৫ জন সদ্যজাতকে বেছে নিয়েছিলেন। এই ২৫৫ জনের জন্ম করোনাকালে। এবং তাদের মধ্যে ১১৪ জনের মায়েরা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোভিডে আক্রান্ত হন। দেখা গিয়েছে, যে সব শিশুরা গর্ভের থাকার সময়ে তাদের মায়েরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিল, তাদের স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের বিকাশ অন্য শিশুদের তুলনায় কম হয়েছে।
তবে এই সমস্যা কত দিন থাকবে, এর পরে সেই শিশুদের মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুর বিকাশ অন্য শিশুদের মতোই হবে কি না, তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষক দানি দুমিত্রিয়ু বলেছেন, গর্ভে শিশুদের বিকাশে কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু জন্মের পরে এই বিকাশের গতি অন্য শিশুদের তুলনায় কিছুটা কমে গিয়েছে। ‘যদিও এই সমস্যা কত দিন পর্যন্ত থাকবে, তা এখনই বলা যাবে না। কারণ মাত্র ৬ মাসের তথ্যের ভিত্তিতে এটা বলা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ সম্পর্কে আরও ভালো করে বোঝা যাবে।’ বলেছেন তিনি।
এর পাশাপাশি আর একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনার কারণে কিডনি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রায় ৯০ হাজার রোগীর উপর পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা এই তথ্য টের পেয়েছেন। কিডনির কোষে করোনা মারাত্মক ভাবে প্রভাব ফেলে— এমনই বলছেন বিজ্ঞানীরা।
এত দিন মনে করা হয়, করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুসফুস। কিন্তু হালে দেখা গিয়েছে, লং কোভিডের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিডনিই। এই ভাইরাসের সংক্রমণ হলে কিডনির উপর মারাত্মক চাপ পড়ে। তাই যাঁদের ইতিমধ্যেই কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।