প্রতিটি পরিবার এক একটি সন্তানকে এক একভাবে মানুষ করে। এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাবা মায়েদের নানান সমস্যার মুখে পড়তে হয়। নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু এর মাঝেও, সন্তানকে সঠিক ভাবে মানুষ করতে গিয়ে সুশিক্ষা দিতে গিয়ে একাধিক ভুল করে ফেলেন। আর এই ভুলগুলো সন্তানদের উপর জানতে বা অজান্তে খারাপ প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে অন্যতম হল তাঁদের উপর চ্যাঁচানো। মনে রাখবেন আপনার সন্তানের কাছে তাঁর সুপার হিরো কিন্তু তাঁর বাবা মা। একই সঙ্গে সে তাঁর সমস্ত শিক্ষাটুকুই বাবা মায়ের থেকেই পায়। ফলে আপনি কিন্তু আপনার সন্তানের আদর্শ। ফলে আপনাদের বেশ কিছু জিনিস মনে রাখা উচিত বাবা মা হিসেবে।
আপনি যদি নিয়মিত কোনও না কোনও কারণে সন্তানের উপর চ্যাঁচাতে থাকেন তাহলে তার কুপ্রভাব আপনার সন্তানের উপরেই পড়বে। রোজ বকতে থাকলে না চ্যাঁচাতে থাকলে আপনার সন্তান কিন্তু আপনাকে আর পাত্তা দেবে না। ভয় পাবে না। দেখে নিন সন্তানের উপর নিয়মিত চ্যাঁচালে কোন কোন সমস্যা তৈরি হতে পারে।
১. আচরণে বদল আসে: আপনি যদি আপনার সন্তানের কোনও ভুল শুধরাতে গিয়ে বারংবার তাঁকে বকেন তাহলে আপনার সন্তান কিন্তু একটি শিক্ষা পাচ্ছে এর মধ্যে দিয়ে। সেটা কি জানেন? সে ভাবছে যে কোনও সমস্যার সমাধান বোধহয় এভাবেই চেঁচিয়ে, বকে, মেরে করা যায়। আর এর মাঝে সন্তানকে আত্মনিয়ন্ত্রণ, ইমোশন রেগুলেশন, ইত্যাদি জিনিসগুলো শেখাতে ভুলে যাই।
২. উদ্বেগ বাড়তে থাকে: ভুল শুধরানোর জন্য আপনি যদি আপনার সন্তানকে বারংবার বকতে থাকেন, চ্যাঁচান তাহলে তাঁর মনে কিন্তু ভয় জমা হবে। আতঙ্কিত হয়ে থাকবে, আর এসবের কারণে তার মধ্যে উদ্বেগ বাড়তে থাকবে।
৩. মস্তিষ্কের গঠন: করণের অকারণে সন্তানের উপর চ্যাঁচাতে থাকলে সন্তানের সামাজিক, ইমোশনাল এবং ব্রেন ডেভলপমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনটাই একটি গবেষণায় ধরা পড়েছে।
৪. শারীরিক স্বাস্থ্য: একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে ছেলেবেলার খারাপ অভিজ্ঞতা, বকা, কটু কথা শোনা, ইত্যাদির কারণে বয়সকালে একাধিক রোগের সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল বাতের ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ইত্যাদি।