প্রায় প্রতিটি নারীর কাছেই মা হওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর উপহার এবং গর্ভাবস্থার নয় মাস জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান মুহূর্ত। যখন একজন মহিলা গর্ভবতী হন, তখন তার মধ্যে মাতৃত্বের অনুভূতি জাগ্রত হয়। সেই মুহূর্ত থেকে, সে তার আসন্ন সন্তানের কল্যাণের কথা ভাবতে শুরু করে। প্রতিটি মা চান তার সন্তান সুস্থ, সুন্দর এবং বুদ্ধিমান হোক। এর অনেক কিছুই জেনেটিক্সের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে, কিন্তু তবুও যদি গর্ভাবস্থায় কিছু বিষয়ের যত্ন নেওয়া হয়, তাহলে জন্মগ্রহণকারী শিশুটি কেবল সুস্থই থাকবে না, বরং আরও বুদ্ধিমানও হবে। এখানে আমরা আপনাদের সাথে এমন কিছু ছোট ছোট টিপস শেয়ার করছি যা আপনি মনে রাখতে পারেন।
সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন
গর্ভাবস্থায় সুষম খাদ্য গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে জন্মগ্রহণকারী শিশু শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকে। গর্ভবতী মহিলাদের তাদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি খুব যত্নবান হওয়া উচিত। এমন জিনিস খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যা শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজ সরবরাহ করতে পারে। গর্ভাবস্থায় জাঙ্ক ফুড খাওয়ার পরিবর্তে, প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি, ফল, শুকনো ফল এবং দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া উচিত। গর্ভের ভেতরে বেড়ে ওঠা শিশু যখন পর্যাপ্ত পুষ্টি পায়, তখন শিশুটি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ জন্মগ্রহণ করে।
যোগব্যায়াম এবং ধ্যান করুন
গর্ভাবস্থায়, আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার পর, আপনার দৈনন্দিন রুটিনে হালকা যোগব্যায়াম এবং ধ্যান অন্তর্ভুক্ত করুন। যোগব্যায়াম ও ধ্যান করলে শরীর সুস্থ থাকে এবং মানসিক শান্তিও পাওয়া যায়। আর গর্ভাবস্থায় এই মানসিক শান্তি খুবই প্রয়োজন। এটি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আপনার সন্তানের সাথে কথা বলুন
তোমরা নিশ্চয়ই মহাভারতের গল্প শুনেছ, যেখানে গর্ভে বেড়ে ওঠা অভিমন্যু তার বাবা-মায়ের কথা শুনে যুদ্ধের কৌশল শিখেছিল। এটা অনেকাংশে সত্য যে গর্ভের ভেতরে বেড়ে ওঠা শিশুটি আপনার কথা শোনে এবং বোঝে। বিজ্ঞানও এটা মেনে নিয়েছে। তাই শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য, মায়ের উচিত তার গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুর সাথে কথা বলা। এটি দুজনের মধ্যে মানসিক সংযোগকেও শক্তিশালী করে। এই সময়ে তুমি কিছু ভালো বইও পড়তে পারো।
মৃদু সঙ্গীত শুনুন
হালকা সঙ্গীত উদ্বেগ দূর করে মনকে প্রশান্ত করতে বিস্ময়কর কাজ করে। বলা হয় যে গর্ভাবস্থায় যদি কোনও মহিলা হালকা সঙ্গীত শোনেন, তাহলে এটি গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুর বুদ্ধিমত্তার উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই, গর্ভাবস্থায় হালকা সঙ্গীত শোনা শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়। কিন্তু মনে রাখবেন হেডফোন পরে উচ্চ ভলিউমে গান শুনবেন না।
নেতিবাচকতা থেকে দূরে থাকুন
গর্ভাবস্থায় নেতিবাচক জিনিস এবং নেতিবাচক চিন্তাভাবনা আপনার গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুর উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অতএব, গর্ভাবস্থায় নেতিবাচকতা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। আপনার মনকে শান্ত, স্থিতিশীল এবং ইতিবাচক রাখুন। নেতিবাচক কথা বলা এড়িয়ে চলুন এবং নেতিবাচক লোকদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।