ডিম খেতে তো অনেকেই পছন্দ করেন। ডিমে স্বাদে যেমন তুলনীয়, তেমনি এতে মাছ বা মাংসের মতো কাঁটা বা হাড়ের সমস্যা নেই। তাই এটি শিশুদেরও খুব পছন্দের একটি খাবার। অনেকে জলখাবারে ডিমের পোচ, অমলেট বা সিদ্ধ খেয়ে থাকেন। এটি প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। কিন্তু অনেকেই ভাবেই ডিম খেলে খুব পেট গরম হয়ে যায়। তাই অনেকেই বিশ্বাস করেন যে শুধুমাত্র শীতকালে ডিম খাওয়া উচিত। বহু মানুষের মতে, ডিম শুধু শরীর গরম করে তাই নয়, এটি খেলে শিশুরাও নানা সমস্যায় পড়তে পারে।
ডিম একটি সুপার ফুড এবং এটি সহজেই শরীরের অনেক পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে পারে ঠিকই। কিন্তু গরমে শিশুদের ডিম খাওয়ানো নিয়ে অনেকেই দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন। এই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো। ফোর্টিস হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এবং নিওনাটোলজিস্ট চিকিৎসক পুনীত আনন্দ, এই বিষয়টি নিয়ে জানিয়েছে। গরমে শিশুদের ডিম খাওয়া নিয়ে যদি কোনও দ্বিধা কাজ করে তাহলে আপনিও জেনে নিন কী করা উচিত।
আরও পড়ুন: গরমে দু-এক দিন ছাড়াই ঝিঙে খাচ্ছেন! জানেন আপনার শরীরের উপর কী প্রভাব পড়ছে
গ্রীষ্মকালে শিশুদের ডিম দেবেন কিনা?
চিকিৎসক পুনীত আনন্দের মতে, ডিমে ভালো পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং আয়রন পাওয়া যায়। যা শিশুদের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ডিমে কোলিনও থাকে যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য অপরিহার্য। তাই যে কোনও মরশুমেই শিশুদের ডিম খেতে দিতে পারেন। গরমেও তারা ডিম খেতে পারে অনায়াসে।
কয়টি ডিম দিতে পারেন?
চিকিৎসক পুনীত আনন্দ জানান যে, গ্রীষ্মকালে আপনার সন্তানকে দিনে একটির বেশি ডিম দেওয়া উচিত নয়। একটি ডিম শরীরে পুষ্টি জোগাবে এবং তা হজমও হয়ে যাবে সহজই। আসলে গরমের সময় বেশি ডিম দিলে শিশুদের জন্য এতে উপস্থিত প্রোটিন হজম করা কঠিন হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ব্লাড সুগারের ভয়ে বেল খাচ্ছেন না? গরমে এর উপকারিতা জানলে অবাক হবেন
বেশি ডিম খাওয়ার ফলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
শিশুদের বেশি পরিমাণে ডিম খাওয়ালে এতে উপস্থিত প্রোটিন হজম করতে অসুবিধা হয় এবং এর ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে জলের অভাব দেখা দিতে পারে।
ডিম কেন খাওয়া উচিত?
ডিম ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের বিকাশের জন্যও এটি খুবই উপকারী। এছাড়া এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। এছাড়াও এতে ভিটামিন বি, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, সেলেনিয়াম এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।