একমাসও হয়নি সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্ট। সদ্যই লন্ডনে তাঁদের বিবাহ পরবর্তী অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে। এরপরই তাঁরা একসঙ্গে প্যারিস অলিম্পিক্সকে হাজির হন। তাঁরা ছাড়াও পরিবারের অন্যান্য সদস্য যেমন মুকেশ আম্বানি, ইশা আম্বানি এবং আনন্দ পিরামলকেও দেখা গিয়েছিল। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সদস্য নীতা আম্বানি-সহ আম্বানি পরিবারের অনেকেই অলিম্পিক্সকের নানা প্রতিযোগিতায় উপস্থিত থেকেছেন।
অলিম্পিক্সে একেবারে অন্য সাজে ধরা দিয়েছিলেন নব-দম্পতি। প্যারিস যাওয়ার জন্য নবদম্পতি নজরকাড়া কিন্তু আরামদায়ক পোশাক বেছে নিয়েছিলেন। ইভেন্ট তাঁদের ছবি ও ভিডিয়োগুলি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। অসংখ্য লাইক এবং কমেণ্টে ভরে গিয়ছিল। ভিডিয়োয় তাঁদের বেশ স্টাইলিশ দেখাচ্ছিল। রাধিকা বর্গাকার নেকলাইন ও বোতাম দেওয়া ব্যাকলেস, ফ্লের্ড বটম কমলা রঙের একটি কো-অর্ড ড্রেস বেছে নিয়েছিলেন। এটি ভার্সাচে ব্যান্ডের। তাছাড়া সঙ্গে নিয়েছিলেন 'গোইয়ার্ড'-এর একটি সাদা ক্রসবডি স্লিং ব্যাগ, পায়ে পরেছিলেন সাদা রঙের জুতো। তাঁর চুল পনিটেলে করে বাঁধা ছিল, একবারে নো- মেকআপ লুকে ধরা দিয়েছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে বেশ প্রাণবন্ত দেখাচ্ছিল নব বধূ রাধিকাকে। অন্যদিকে, অনন্ত আম্বানিও বেশ আরামদায়ক একটি কালো প্যান্ট, সামার প্রিন্টের শার্ট এবং ট্রেন্ডি জুতোর পরে সকলের নজর কেড়েছিলেন।
আরও পড়ুন: 'এখন পর্যন্ত আমাদের…' বহুরূপী মুক্তির আগেই ছবির কোন বড় তথ্য ফাঁস করলেন শিবপ্রসাদ
পরিবারের কর্তা মুকেশ আম্বানির পরনে ছিল একটি ক্লাসিক নীল এবং সাদা ডোরাকাটা শার্ট৷ ইশা আম্বানি পরেছিলনেন সামার স্পেশাল সাদা রঙের একটি পোশাক। তাঁর স্বামী আনন্দ পিরামলও ইশার সঙ্গে রংমিলান্তি করে একটি সাদা রঙের শার্ট বেছে নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বোটক্স নিয়ে কথা! কেন তারই মাঝে ‘সেদিনের নায়িকা’ রাধিকা মদন টানলেন করিনা প্রসঙ্গ
প্রসঙ্গত, অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্ট ১২ জুলাই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তারপর ১৩ জুলাই ছিল তাঁদের 'শুভ আশীর্বাদ'-এর অনুষ্ঠান। এরপর ১৪ জুলাই মুম্বইতে বসে তাঁদের প্রীতি ভোজের আসর। মুকেশ ও নীতা এই অনুষ্ঠানের নাম দেন 'মঙ্গল উৎসব'। এই 'মঙ্গল উৎসব'-এ টলিউড থেকে বলিউডের বহু তারকা উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁদের বিয়ের আগে গুজরাটের জামনগরে তাঁদের প্রথম-প্রাক বিবাহের অনুষ্ঠান হয়, দ্বিতীয় দফায় প্রাক-বিবাহের অনুষ্ঠান হয় ইতালিতে। বিয়ের পরও নব দম্পতি জামনগরে গিয়েছিলেন। স্থানীয়রা নতুন বর-কনেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিল। তারপর তাঁরা তাঁদের বিবাহ পরবর্তী অনুষ্ঠানের আসর বসিয়েছিল লন্ডনে সেখানে বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সকলের উপস্থিতিতে এই অন্তরঙ্গ অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়।