পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা পিসিওএস হচ্ছে অন্যতম পরিচিত হরমোনাল পরিবর্তন। যাঁদের পিসিওএস থাকে তাঁদের ওজন বৃদ্ধি ঘটে আচমকাই, সঙ্গে, অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা, অতিরিক্ত লোম বাড়ার সমস্যা, ত্বকে কালো দাগ ছোপ পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি এটার কারণে একজন মহিলার সন্তানধারণ ক্ষমতা নিয়েও নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আপনিও যদি পিসিওএস এবং সন্তানধারণ বা বন্ধ্যাত্বের মধ্যে যোগসূত্র কী জানতে চান তাহলে এই প্রতিবেদন পুরোটা পড়ুন।
নোভা আইভিএফ ফার্টিলিটি সেন্টারের চিকিৎসক ডক্টর সুলভা আরোরা এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর দিলেন যা অধিকাংশ মহিলার মুখেই শোনা যায় যাঁরা পিসিওএসের সমস্যায় ভুগছেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই প্রশ্নগুলো কী কী এবং তার উত্তরই বা কী?
১. পিসিওএসের কারণে কি সন্তানধারণের ক্ষমতা হ্রাস পায়? : পিসিওএস হল অ্যানোভুলেটরি বন্ধ্যাত্বের সব থেকে পরিচিত একটি কারণ। এটা তখন হয়ে থাকে যখন কোনও মহিলার নিয়মিত ডিম্বস্ফোটন হয় না। পিসিওএসের কারণে কখনও ডিম্বস্ফোটন পিছিয়ে যায় কখনও বা একদমই হয় না। এর কারণে সন্তানধারণে সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও পিসিওএস হলে ওজন বাড়ে, যার কারণেও সন্তানধারণে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২. যে মহিলার পিসিওএসের সমস্যা আছে এবং দেরি করে সন্তান নিতে চায় তিনি কোন বয়সে তাঁর পিসিওএস মুক্ত ডিম্বাণু সংরক্ষণ করতে পারে? : যদি একজন মহিলা তাঁর ডিম্বাণু সংরক্ষণ করতে চান এবং ভালো মানের, পিসিওএস মুক্ত ডিম্বাণু পেতে চান তাহলে ত্রিশ বছরের আগেই সেটা করে ফেলতে হবে।
৩. যাঁরা তাঁদের ডিম্বাণু সংরক্ষণ করতে চান তাঁদের জন্য কোনও টিপস?: কোনও ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন গোটা বিষয়টা বোঝার জন্য। যদি আপনার বিএমআই বেশি থাকে তাহলে আপনার সবার আগে ওজন কমানো উচিত। গর্ভধারণের চান্স বাড়ানোর জন্য অন্তত ১৫-২০ টি ডিম্বাণু সংরক্ষণ করা উচিত।
৪. যে মহিলারা পিসিওএসের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা কোন বিষয় মাথায় রাখবেন সন্তানধারণের সময়?: এটা একটা অত্যন্ত পরিচিত সমস্যা, ফলে অকারণ চিন্তা করে স্ট্রেস বাড়াবেন না। ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। এবং একটা প্ল্যান ছকে ফেলুন গর্ভধারণ করার জন্য। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কিন্তু একটি পজিটিভ জীবনযাপন দারুন পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়। এবং সহজেই গর্ভধারণ করা যায়। যাঁদের হরমোনাল কারেকশন দরকার হয় তাঁদের বিভিন্ন উপায়ে ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞেরা সাহায্য করে থাকেন। চিকিৎসাবিজ্ঞান এখন অনেকটাই উন্নত হয়েছে, ফলে গোটা বিষয়টায় অত্যন্ত সহজ হয়ে গিয়েছে, তাই কোনও ব্যথা বা অসুবিধা ছাড়া গর্ভধারণ করা সম্ভব।