ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরের রোগ সারানোর আদর্শ সময় হল শীতকাল। শীতের বাজারে যা কিছু মেলে সবই টাটকা। সেই টাটকা ফলমূল ও শাকসবজি খেলে বড়সড় শারীরিক সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। পিসিওস বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম তেমনই একটি রোগ। বর্তমানে দেশে বেশিরভাগ মহিলাদের এই সমস্যা রয়েছে। রোজকার অনিয়মিত জীবনযাপন মূলত এর জন্য দায়ী। অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও মশলাদার খাবার খাওয়া, ধূমপান ও মদ্যপান ইত্যাদি কারণে বাড়তে পারে পিসিওস-এর সমস্যা।
পিসিওস-এর ফলে ব্রণ, অতিরিক্ত চুল পড়ে যাওয়া, মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। এ ছাড়াও দীর্ঘ সময় ধরে পিসিওস থাকলে ডায়াবিটিস আর উচ্চ রক্তচাপও হতে পারে। তবে নিয়মিত কিছু ভালো খাবারের ডায়েট মেনে চললে এটি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। শীতের মরশুমি খাবার পিসিওস সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই দেয়।
১. কম কার্বোহাইড্রেট কিন্তু বেশি ফ্যাট: পিসিওস-এ ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। তাই খাবারে কম কার্বোহাইড্রেট থাকা জরুরি। কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকলে তার থেকে ওজন বাড়তে পারে। এ ছাড়াও এই সময় ভালো ফ্যাটযুক্ত খাবার শরীরের পক্ষে যথেষ্ট উপকারী। ঘি, মাখন, বাদামের মধ্যে থাকা ভালো ফ্যাট শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।পাশাপাশি স্ত্রী হরমোনের ক্ষরণ স্বাভাবিক রাখে।
২. প্রোটিন: পিসিওস-এ সারাতে শরীরে প্রোটিনের জোগান থাকা জরুরি। প্রোটিনের মধ্যে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড হরমোনের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখে। স্ত্রী হরমোনের উৎপাদন সঠিক পরিমাণে হলে পিসিওস-এর সমস্যাও ধীরে ধীরে সেরে যায়।
৩. ভিটামিন ডি: সালমন মাছ, দই, মাশরুম, ডিম, দুধ ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি। এই ধরনের ভিটামিন এই সময় যথেষ্ট প্রয়োজন। এছাড়াও সূর্যালোক থেকে প্রাকৃতিকভাবেও ভিটামিন ডি পাওয়া সম্ভব।
৪. শাকসবজি: শাকসবজির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জল, ফাইবার আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই তিনটিই পিসিওস-এ সারাতে প্রধান ভূমিকা নেয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্রণ কমাতে সাহয্য করে। জল ও ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে। পিসিওস রোগীদের মধ্যে ডায়াবিটিসের প্রবণতা বেশি দেখা যায়।