বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Adenovirus infection: শিশুদেরও বাড়ছে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ, হাসপাতালের বেডে টান, কী বলছেন চিকিৎসক

Adenovirus infection: শিশুদেরও বাড়ছে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ, হাসপাতালের বেডে টান, কী বলছেন চিকিৎসক

অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্তের হার বাড়ছে? (Freepik)

Adenovirus infection: অ্যাডিনোভাইরাসের শেষ সংক্রমণ হয়েছিল ২০১৮-১৯ সাল নাগাদ। আবার নতুন করে থাবা বসাচ্ছে এই ভাইরাস। কী বলছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা।

ঋতু বদলের মরসুম তো বটেই। তার উপর দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। দুইয়ে মিলে সুযোগ করে দিচ্ছে ভাইরাসদের। তারই ছবি দেখা যাচ্ছে কলকাতার শিশু হাসপাতালগুলিতে। হাসপাতালের জেনারেল বেড ভরে যাচ্ছে ছোট্ট ছোট্ট একরত্তি রোগীর ভিড়ে। রোগীর সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটেও উপচে পড়ছে ভিড়। কোভিড পর্ব প্রায় অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে বাংলা। তবে নতুন করে ঋতু বদলের মরসুমে শিশুরা অ্যাডিনোভাইরাসের কবলে পড়ছে। চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে বাবা-মায়ের কপালে।

শুধু কলকাতা শহর নয়, জেলা হাসপাতালগুলিতেও একই ছবি চোখে পড়ছে। হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিকু) বেডের আকাল দেখা দিয়েছে। কারও কারও অবস্থা এতটাই সঙ্গীন যে ভেন্টিলেশনে রাখতে হচ্ছে। সাধারণ জ্বর,সর্দি,কাশি থেকে শুরু হচ্ছে রোগে ভোগা, যা গড়াচ্ছে হাসাপাতালের আইসিইউ পর্যন্ত।

চিকিৎসকদের কথায়, অধিকাংশ শিশুদেরই শ্বাসনালীতে ভাইরাল সংক্রমণ হচ্ছে। এটাই সবচেয়ে বেশি চিন্তার কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে। এদের মধ্যে দুটি গুরুতর রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। একটি হল নিউমোনিয়া। অন্যটি অ্যাডিনোভাইরাস। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৮-১৯ সাল নাগাদ একবার ব্যাপক হারে কাবু করেছিল এই ভাইরাস। আবার ২০২৩ থেকে থাবা বসাতে শুরু করেছে এই ভাইরাস। তিন বছর আগের পরিস্থিতি তাও আয়ত্তে ছিল। কিন্তু এই বছরের অবস্থা বেশ ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।

কেন অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্তের হার বাড়ছে?

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোভিডের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে বেরোয়নি খুদেরা। তার ফলে স্বাভাবিক পরিবেশে মেলামেশাও কমে গিয়েছে অনেকটা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে তলানিতে। সেই সুযোগই নিচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস।

রাজ্যের হাসপাতালগুলির সাম্প্রতিক ছবিটা কেমন?

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের কথাই ধরা যাক, সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সেখানে সাধারণ ওয়ার্ডে জায়গা ফুরিয়ে গিয়েছে। রোগীর ভিড় অনেকটাই বাড়ছে বি সি রায় শিশু হাসপাতালেও। জেলা হাসপাতালগুলির অবস্থা আরও শোচনীয় বলা যায়। বেডের আকাল একদিকে বেড়েছে, অন্যদিকে গুরুতর অসুস্থদের সংখ্যাও তুঙ্গে। শিশু রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়াও অমানবিক। তা-ই এক বেডেই দুজনকে জায়গা করে দিতে হচ্ছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের শিশুরোগ বিভাগের এক চিকিৎসক সংবাদমাধ্যমকে জানান, সব শিশু রোগীরই ভাইরাল প্যানেলের পরীক্ষা হচ্ছে তেমনটা নয়। তবে অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপ যথেষ্ট বেশি। বেসরকারি হাসপাতালগুলিও একই সমস্যায় ভুগছে। এক বেসরকারি হাসাপাতালের চিকিৎসকের কথায়, জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। তাদের মধ্যে আবার দুই বছরের নিচে আক্রান্তের হার বেশি।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup 

বন্ধ করুন