খুদের নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেশি। রোগের চিকিৎসার জন্য সদ্যোজাতের বেশ কিছু পরীক্ষা করতে হয়। চিকিৎসা পদ্ধতির সময় বেশ কয়েকটি দিকে নজর রাখা জরুরি।
ছোট্ট অতিথিকে কয়েকদিন হল হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যেই হঠাৎ একদিন ওর হাঁচি বা কাশি শুনলেন। তারপর হঠাৎ করেই গা গরম। এমন লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই জরুরি। কারণ এগুলি নিউমোনিয়ার লক্ষণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খুদে একরত্তি ও বয়স্ক মানুষদের নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এমনকী সদ্যজাত শিশুর মৃত্যুর অন্যতম কারণ হল নিউমোনিয়া। জন্মের পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগে। এই সময়ে যে কোনও রোগে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি।
কীভাবে রোগ নির্ণয় করা হয়?
চিকিৎসক সাধারণত লক্ষণ দেখে রোগ নির্ণয় করেন। সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে তা বুঝতে রক্ত পরীক্ষা ও বুকের এক্স রেও করা হয়।এছাড়া শ্বাসপ্রশ্বাসের ধরন দেখেও রোগটি বোঝার চেষ্টা চলে। সাধারণত এক মিনিটে ক'বার শ্বাস নিচ্ছে খুদে, তাই দেখে নিউমোনিয়ার প্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করেন চিকিৎসক।
কীভাবে এগোয় চিকিৎসা?
- ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া হলে চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন। ভাইরাস থেকে রোগটি ছড়ালে অ্যান্টিভাইরাল গোত্রের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দিকে এই সময়ে নজর রাখতে হয়।
- এই সময় খুদের শরীরে জলের ভাগ কমে যেতে থাকে। জল স্বাভাবিক মাত্রার নিচে নেমে গেলে আরও গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই জলের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে চিকিৎসক নির্দিষ্ট তরল দিয়ে চিকিৎসা করেন।
- এর পাশাপাশি খুদের প্রচুর বিশ্রামের প্রয়োজন হয়।
- এই সময়ে ওর ঘরে একটি হিউমিডিফায়ার লাগানো উচিত। এটি ঘরের বায়ুতে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। শীতের সময় জলের পরিমাণ কমে গিয়ে বায়ু শুষ্ক হয়ে পড়ে। কাশি ও বুকে কফ জমা কমাতেই এটি প্রয়োজন।
- এই রোগে প্রচণ্ড জ্বরের লক্ষণও দেখা দিতে পারে। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর খুদের জ্বর মাপার পরামর্শ দেন চিকিৎসক।
- দূষিত বায়ু নিউমোনিয়ার অন্যতম কারণ। তাই খুদের ঘরে একটি বায়ু পরিশোধক যন্ত্রও রাখা ভালো।
- পরিস্থিতি গুরুতর হলে শ্বাসপ্রশ্বাস ঠিকমতো চলার জন্য চিকিৎসক শিশুকে ব্রিদিং মেশিন দেন। যতক্ষণ না সমস্যা কমছে, এটি দিয়েই খুদের শ্বাসপ্রশ্বাস চলতে থাকে।