পিরিয়ডের এই চারটি দিন মহিলাদের বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। পেটের যন্ত্রণা তো থাকেই সঙ্গে থাকে মুড সুইং, অস্বস্তি। আর এর সঙ্গে লেজুড় হিসেবে হাজির হয় ব্রণ। এই সময়টায় হরমোনাল চেঞ্জ দেখা যায়। মেনস্ট্রুয়াল সাইকেলের সময় হরমোনাল পরিবর্তন ভীষণ রকম হয়ে থাকে। এটার কারণেই ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রতি মাসে পিরিয়ডের সময়ই অনেকে ব্রণর সমস্যায় ভুগে থাকেন। পিরিয়ড শুরু হওয়ার দশ বারো দিন আগে থেকেই ব্রণ এসে হাজির হয়ে যায় ত্বকে। কেন হয় এই সময় ব্রণ। দেখুন।
পিরিয়ডের সময় কেন ব্রণ হয়:
ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রা অনেকটাই কমে যায় এই সময়। যায় কারণে ত্বক শুকিয়ে যায়, নিষ্প্রাণ লাগে। আর এর ফলে ব্রণ, বলিরেখা দেখা যায়।
এরপর আবার ওভুলেশনের সময় ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল দেখায় যখন টেস্টোস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেন কমতে শুরু করে। কিন্তু যেই মুহূর্তে আবার প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বাড়তে থাকে ত্বক অয়েলি হতে থাকে। এবং এই কারণে তখন আবার ত্বকে তেল জমা হয়, ব্যাকটিরিয়া বাসা বাঁধে। আর এর ফলে ব্রণর সমস্যা বাড়ে।
এরপর আবার প্রিমেনস্ট্রুয়াল সাইকেলের সময় ভীষণ রকম হরমোনাল পরিবর্তন হয় তখন আবার ত্বক অয়েলি হয়ে যায়, প্রদাহ হয়, ব্রণর সমস্যা বাড়ে।
পিরিয়ডের সময় কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন?
মেনস্ট্রুয়াল ফেজের সময় ত্বক হাইড্রেটেড রাখুন। বেশি করে জল খান। ক্রিম মাখুন। কারণ এই সময় ত্বক শুকিয়ে যায়।
ফলিকিউলার ফেজে নিয়মিত স্ক্রাবিং করুন। এবং একটি ভালো স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলুন।
ওভুলেশন পিরিয়ডের সময় নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন, এমন প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন যা আপনাকে ব্রণর হাত থেকে বাঁচাবে।
এই সময় যত পারবেন ফাইবার জাতীয় খাবার খান। চিনি কম খান, কফি খাওয়ার মাত্রা কমান। হালকা মেকআপ ব্যবহার করুন।
কী করে বুঝবেন আপনার মুখে যে ব্রণ হচ্ছে সেটা পিরিয়ড ব্রণ কিনা?
এটা মূলত পিরিয়ডের সঙ্গে আসে, আর সেটা শেষ হওয়ার সঙ্গেই কমে যায়। মূলত গালে বা থুতনিতে হয়ে থাকে এই ব্রণ। মূলত পূর্ণবয়স্ক এবং টিনেজারদের হয়ে থাকে। প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট সময় হয়ে থাকে।