অধিকাংশ মহিলারই পিরিয়ডসে পেট, কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। ঘরোয়া উপায় এর থেকে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করেন অনেকে। জোয়ানের চা, গরম জলের সেঁক, বেশি করে জল পান করে এই ব্যথা প্রশমনের চেষ্টা চালানো হয়। ঠিক এ ভাবেই অ্যাকিউপ্রেশারের মাধ্যমেও পিরিয়ডস ক্র্যাম্প সারিয়ে তোলা যায়।
অ্যাকিউপ্রেশার কী?
প্রথাগত চৈনিক চিকিৎসায় অ্যাকিউপ্রেশারের উল্লেখ পাওয়া যায়। এটি পুরনো ও কার্যকরী টেকনিক, যার মাধ্যমে নানান শারীরিক সমস্যার সমাধান করা যায়। এই চিকিৎসা অনুযায়ী শরীরের কিছু নরম বিন্দুতে চাপ সৃষ্টি করে, সেই বিন্দুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অঙ্গের ব্যথা দূর করা যায়। বহু বিশেষজ্ঞ মহিলাদের সেল্ফ অ্যাকিউপ্রেশারের পরামর্শ দেন। কারণ এর ফলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ যুবতীদের পিরিয়ডসের সময় অত্যধিক ব্যথার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে হয়। আবার কোনও কোনও মহিলার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয় যে, তাঁদের পেট, পিঠে ব্যথা হয়, এমনকি ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে। এর ফলে শরীরে ক্লান্তি থাকে এবং তারা ঠিক করে কাজ করতে পারেন না।
অ্যাতকিউপ্রেশারের মাধ্যমে পিরিয়ডসের ব্যথা কম করা যায়। এই উপায়টি হল অ্যাকিউপ্রেশার। বিভিন্ন অধ্যয়নে উঠে এসেছে যে, চিকিৎসা হিসেবে অ্যাকিউপাঞ্চারের সাহায্যে পিএমএস বা প্রিমেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম ও পেটে মোচড়ের তীব্রতা কম করা যায়। এর পাশাপাশি মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, গা গোলানো, চিন্তার মতো লক্ষণ থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।
পিরিয়ডস ক্র্যাম্প থেকে স্বস্তি পেতে কীভাবে অ্যাকিউপ্রেশার করবেন?
বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ ও তর্জনীর গোড়ার মাঝের অংশে এক একটি বিন্দু থাকে। অপর হাতের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ ও তর্জনী দিয়ে প্রথমে একটি বিন্দুতে চাপ দিন। কয়েক সেকেন্ড পর অপর বিন্দুটিতে চাপ দিতে হবে। এক হাতে ২-৫ মিনিট করার পর অপর হাতেও ২-৫ মিনিটের জন্য এটি করুন। উল্লেখ্য এর ফলে ২ ঘণ্টার জন্য পিরিয়ডসের ব্যথার হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
েন।