জিনগত প্রভাব, জীবনধারা ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে রক্তের ক্যানসারের সম্ভাবনা। লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা এবং মায়েলোমার মতো রক্তের ক্যানসারের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে হলে আগে থেকে সাবধানতা জরুরি। তবে আরও একটি ছোট বড় কারণ আছে যা রক্তের ক্যানসারের কারণ হতে পারে। তা হল পরিবেশগত বিষাক্ত পদার্থ। এইচটি লাইফস্টাইলের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবালি আহলাওয়াত এ প্রসঙ্গে বেশ তথ্য তুলে ধরেছেন।
কোন কোন পদার্থের কারণে ব্লাড ক্যানসার হতেই পারে
ক্যানসার বিশেষজ্ঞ স্পষ্ট জানিয়েছেন যে পরিবেশগত বিষাক্ত পদার্থ রক্তনালীতে বড়সড় পরিবর্তন আনতে পারে। এই বিষাক্ত পদার্থগুলির মধ্যে রয়েছে বেনজিন, কীটনাশক, ভারী ধাতু (যেমন আর্সেনিক এবং সীসা) এবং অন্যান্য পরিবেশ দূষণকারী পদার্থও। এই ক্ষতিকারক পদার্থগুলির দীর্ঘমেয়াদী সংস্পর্শে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং ডিএনএ-র ক্ষতি করতে পারে, যা রক্ত কোষে ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: (Therapy for Paralyzed: এই নতুন থেরাপি নিলে আবার হাঁটতে পারবেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীরা, গবেষণায় নতুন তথ্য)
কোন ধোঁয়া ক্যানসারের সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে
বেনজিন হল সিগারেটের ধোঁয়া, যানবাহন থেকে বেরিয়ে আসা ধোঁয়া এবং কিছু কারখানা থেকে নির্গত রাসায়নিক পদার্থে পাওয়া একটি ক্ষতিকারক পদার্থ। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার (আইএআরসি) অনুসারে, বেনজিনের দীর্ঘমেয়াদী সংস্পর্শে থাকার ফলে অ্যাকিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়া (এএমএল) নামক এক ধরনের রক্তের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। ডাঃ শিবালি আহলাওয়াতের আরও দাবি, এটি অস্থি মজ্জার রক্ত গঠনকারী কোষগুলির ক্ষতি করে এবং রক্ত কোষের উৎপাদনকেও প্রভাবিত করতে পারে।
কীটনাশকও সমান বিপজ্জনক
কৃষিকাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু কীটনাশক নন-হজকিন লিম্ফোমা এবং অন্যান্য রক্তের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ক্যানসার বিশেষজ্ঞের মতে, এই কীটনাশকগুলি স্বাভাবিক কোষের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে এবং কোষের ক্ষতি করতে পারে, যার ফলে মিউটেশন হতে পারে।
কোনও অংশে কম যায় না আর্সেনিকও
আর্সেনিকের মতো ভারী ধাতু,কল-কারখানা থেকে নির্গত বা চিকিৎসা খাতে স্ক্যানের মতো জিনিস থেকে বেরিয়ে আসা দীর্ঘমেয়াদী বিকিরণের সংস্পর্শে এলেও রক্তের ক্যানসারের বিকাশের হতে পারে। এই ক্ষতিকারক পদার্থগুলি স্বাভাবিক কোষ মেরামত ব্যাহত করতে পারে এবং কোষের জিনগত উপাদানের ক্ষতি করতে পারে।
আরও পড়ুন: (Skin Care Tips: শুষ্ক হোক বা আর্দ্র ত্বক, কফি স্ক্রাবের এই ফর্মুলায় ত্বক হবে জেল্লাদার, মসৃণ)
কীভাবে সচেতন থাকবেন
যদি এমন কোনও পরিবেশে থাকতে হয় বা কাজ করতে হয়, যেখান থেকে পরিবেশগত বিষাক্ত পদার্থ নির্গত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, সেক্ষেত্রে আগেভাগেই সাবধান হওয়া জরুরি। ডঃ শিবালি আহলাওয়াত বলেছেন, নিজেদের রক্ষা করার জন্য, এই ধরনের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে। ক্ষতিকারক পদার্থের সংস্পর্শ আসাটা কমানোও গুরুত্বপূর্ণ। রক্তের কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা তা প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করতে ক্যানসার টেস্টের ল্যাবে গিয়ে নিয়মিত চেক-আপ করারও পরামর্শ দেন তিনি। সময়ের আগে বিপদের খোঁজ পেলে আরও ভালো ট্রিটমেন্ট পাওয়া যেতে পারে বলে দাবি করেছেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ।