‘আই হেট মাই জব’, এরকম কথা আপনারও মনে আসে নাকি আজকাল? এই ৫টি লক্ষণ দেখে বুঝবেন অবিলম্বে আপনার উচিত চাকরি বদলে নেওয়া
1/6দিনের মধ্যে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা আমরা কাটাই কাজের জায়গায়। আর তাই সেখানে কোনও সমস্যা তৈরি হলে সেই ছাপ পড়ে আমাদের শরীরে আর মনে। সুস্থ থাকতে পরিস্থিতি খারাপ হলে সবার আগে বদলে নিন কাজের জায়গা। নীচের লক্ষণগুলো দেখলে আপনি বুঝবেন আবিলম্বে আপনাকে বদলাতে হবে এই চাকরি-
2/6মানসিক চাপ থেকে ক্লান্তি তৈরি হয়। যদি দেখেন রোজই কাজে উৎসাহ পাচ্ছেন না, কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই অফিসের পরিবেশ আপনার দম বদ্ধকর লাগছে তাহলে বুঝবেন একটা ছোট্ট ব্রেকের প্রয়োজন। আর এই ব্রেক নেওয়ার পরও যদি অবস্থা আগের মতোই থাকে তাহলে চাকরিটাই বদলে ফেলুন।
3/6যারা ডেস্ক জব করেন তাঁদের ঘাড়ে ব্যথার সমস্যা বেশি দেখা যায়। এমনকী আজকাল তো স্পন্ডেলাইটিসের সমস্যাও বাড়ছে এই কারণে। এরকম হলেও আপনাকে বদলাতে হবে চাকরি। কারণ পরবর্তীতে আপনার ক্রনিক ডিজিজ তৈরি হতে পারে এইসব কারণে।
4/6চোখজুড়ে ঘুম, কিন্তু বিছানায় শুয়েই আপনার মনে জড়ো করে আসছে একরাশ চিন্তা? ভাবতে বসছেন-- বসকে পরের দিন রিপোর্টে জমা দিতে হবে যে ফাইলগুলো সেগুলি আদৌ ঠিক হল কি না, আপনার পাশে বসা কলিগটি কাল ঠিক কী কী ‘দুষ্টু-বুদ্ধি’ জুড়বে, তাহলে বুঝবেন এই চাকরি আপনার মানসিক চাপ বাড়াচ্ছে।
5/6আজকাল কি কথায় কথায় রেগে যান? একটু বেশিই খিটখিটে হয়ে পড়ছেন? অথবা অফিসের চাপ কমাতে মদ্যপান বা সিগারেটের ওপর বেশি ভরসা করতে শুরু করেছেন? এগুলোও কিন্তু বুঝিয়ে দিচ্ছে এই চাকরিটা থেকে বরাবরের মতো ছুটি নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।
6/6অফিসে রোজ রোজ ঝামেলা হলে তা আপনার আত্মবিশ্বাসেও প্রভাব ফেলে। সেক্ষেত্রে কাজ সম্পর্কিত কোনও ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়াও মুশকিল হয়ে পড়ে আপনার জন্য। এইরকম যদি প্রায়ই হয় তাহলেও বুঝতে হবে এই চাকরিটাকে বাই বলতে হবে জলদি। নাহলে এই সিদ্ধান্ত না-নিতে পারাটা সারা জীবনের সঙ্গী হয়ে যাবে। আর যাই হোক, নিজের আত্মবিশ্বাস খোয়ালে চলবে না!