কুমার শানু বরাবরই রাখঢাক করে কথা বলা পছন্দ করেন না। এই যেমন সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা গেল আজকালের হিন্দি সিনেমার গান শোনার যোগ্য বলে মনে করেন না তিনি।
1/5গায়ক কুমার শানুকে বলা হয় সুরের রাজা। নব্বইয়ের দশকে উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট। কলকাতায় সঙ্গীতশিল্পী পরিবারে জন্ম তাঁর। মধু-মাখা কণ্ঠ দিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন বারংবার। প্রেমে পড়া থেকে প্রেমে ছ্যাঁকা খাওয়া, সর্বত্রই তাঁর গান মলমের মতো কাজ করেছে।
2/5সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শানুকে বলতে শোনা গেল, ‘কিন্তু এটা মজার, আমি আমার নিজের গান খুব কমই শুনি! যদি আমার মেয়ে আমার গান বাজায় তাহলে শুনি। নিজে থেকে নিজের গান কখনোই চালাই না। আমার মনে হয় শুনতে গিয়ে যদি কোনও ভুল খুঁজে পাই তাহলে তা আমাকে তাড়া করে বেরোবে। সেই ভয়েই আমি নিজের গাওয়া গান আর শুনি না। মানুষ সেগুলো শুনছে, তিন দশকের বেশি সময় ধরে শুনছে, এটাই আমার বড় পাওনা।’
3/5নব্বইয়ের দশকে শানু যতীন-ললিত, আনু মালিক, নাদিম-শ্রাবণ, আনন্দ-মিলিন্দের সুরে কাজ করেছেন। তাঁর গলা শোনা গিয়েছে হিট সিনেমা সাজন, বাজিগর, ১৯৪২: আ লাভ স্টোরি, দিল হ্যায় কি মানতা নেহি, দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে, আকেলে হাম আকেলে তুম, কুলি নাম্বার ওয়ান-এর মতো হিট সিনেমায়।
4/5কুমার শানু আরও বলেন, সঙ্গীত ছাড়া জীবন কল্পনাও করতে পারেন না। তাঁর কথায়, ‘কিছুই থাকবে না। পুরো ফাঁকা। আমার কাছে জীবনই সঙ্গীত, সঙ্গীতই জীবন। আমি ভাবতেও পারি না যে আমি শ্বাস নিতে পারব, যদি কেউ আমার জীবন থেকে সঙ্গীত কেড়ে নেয়।’
5/5এই সাক্ষাৎকারে শানু সাফ জানান, বর্তমানের কোনও গানই তিনি শোনেন না। কারণ সেগুলো শোনার যোগ্যই নয়। লতা মঙ্গেশকর, মহম্মদ রফি, কিশোর কুমারদের গান থাকে তাঁর প্লে লিস্টে। জানান কিছু ইংরেজি গানও শোনেন। গায়ক আরও বলেন, ‘আজকালকার গান! না, ওগুলো শোনার যোগ্যও না। তাই না আমি সেগুলো শুনি না সেগুলোর ব্যাপারে খোঁজ রাখি।’