কিডনি খারাপ হয়ে গেলে বেঁচে থাকা দুঃসহ হয়ে যায়। সচরাচর কিডনি খারাপ হয়ে গেলে ডায়ালেসিসের মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ করানোর চেষ্টা করা হয়। অবস্থা আরো গুরুতর হলে করা হয় কিডনি প্রতিস্থাপন। তবে কিডনি প্রতিস্থাপন করার ক্ষেত্রে অন্য ব্যক্তির সঙ্গে রোগীর শরীরের বেশ কিছু মিল থাকা প্রয়োজন, না হলে কিডনি প্রতিস্থাপন করা যায় না।
তবে সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক ব্যক্তির শরীরে শুকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। তার নাম রিচার্ড রিক স্লায়মান। দুমাস আগে তার শরীরে করা হয়েছিল শুকরের কিডনি প্রতিস্থাপন। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, মানুষের শরীরে শুকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হলে সেই মানুষ অন্ততপক্ষে দু'বছর বেঁচে থাকবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রিচার্ডের মৃত্যু হল মাত্র দু মাসের মধ্যেই।
আরো পড়ুন:(নতুন গাড়ি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে? গাড়ির সঙ্গে বাড়িতে আসতে পারে ক্যানসার)
রিচার্ডের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল। রবিবার এই তথ্যটি জানিয়েছেন তারা। মৃত্যুর সময় ওই ব্যক্তির বয়স ছিল ৬২ বছর। তিনি ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছিলেন। সঙ্গে ছিল কিডনির সমস্যা।
গত ১৬ মার্চ ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে তার কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্র প্রচার করা হয়। তারপরেই শারীরিক সমস্যা থাকার জন্য মৃত্যু হয় তার। তবে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্যই তার মৃত্যু হয়েছে, এ কথা সঠিকভাবে বলতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যেহেতু রিচার্ডের অন্য শারীরিক সমস্যাও ছিল, তাই মনে করা হচ্ছে, এত বড় অপারেশন রিচার্ডের শরীর সহ্য করতে পারেনি।
এর আগে ২০১৮ সালে রিচার্ডের শরীরে মানুষের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। পাঁচ বছর পর ওই কিডনি বিকল হয়ে যায় তাই চিকিৎসকরা ঠিক করেন এবার শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করবেন তার শরীরে। শুকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, রিচার্ড বেশ ভালই আছেন। তার আর ডায়ালিসিসের প্রয়োজন হবে না।
আরো পড়ুন:(মাতৃদিবসের সূচনা করেন আনা জারভিস? তার পরে নিজেই কেন এটি বন্ধ করতে চান তিনি)
প্রসঙ্গত, এর আগেও শুকরের বিভিন্ন অঙ্গ মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু কোনওবার পাওয়া যায়নি সাফল্য। রিচার্ডের শরীরে এই কিডনি প্রতিস্থাপন একটি ঐতিহাসিক সাফল্য বলেই মনে করেছিলেন চিকিৎসকরা। তবে দুর্ভাগ্যবশত এই মৃত্যু সাফল্যের মধ্যেই কালো দাগ হয়ে গেল। তবে এই অস্ত্রপচার আগামী দিনে হাজার হাজার মানুষের মনে আশা জাগাবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।