ফেসবুকে ‘পিং পং’ বলে একটি কবিতা পোস্ট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র এবং নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। সঙ্গে লিখেছেন, ‘আজব ছড়া’ বইটির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছড়া এটি। শুধু ‘হরে করো কম্বা’ নয়, এমন বহু লেখাও আছে।
ব্যস! এই পোস্টের সঙ্গে সঙ্গে নানা রকম ব্যঙ্গ বিদ্রুপমূলক মন্তব্য ভেসে এসেছে তার সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। তার সঙ্গে প্রচুর হাসির ‘ইমোজি’ও জমা হয়েছে পোস্টটির তলায়। কিন্তু গল্প এখানে শেষ নয়। দেবাংশু এর পরে একটি বিস্ফোরকম মন্তব্যও করেছেন।
তাঁর ছড়া পোস্ট এবং পোস্টের তলায় মন্তব্য জমা হওয়ার Video রেকর্ডিং করেছেন দেবাংশু। সেই Video-টিও পরে পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই Video-টির শিরোনাম দিয়েছেন, ‘দিদির লেখা এত সুন্দর কবিতাতেও সবাই হাসলো! তারপর..?’
সত্যিই কী হল তার পরে? দেবাংশু মন্তব্যের বিভাগটি খুঁটিয়ে রেকর্ড করেছেন। সেখানে ধেয়ে আসা নানা রকম তীর্যক মন্তব্যগুলির পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিয়েছেন। এবং যাঁরা যাঁরা এই মন্তব্য করেছেন, তাঁদের অনেকের নামও বলেছেন। পাশাপাশি অনুরোধ করেছেন Video-টি শেষ পর্যন্ত দেখতে। কারণ সেখানে চমক অপেক্ষা করছে। কী সেই চমক?
Video-র একেবারে শেষভাগে পৌঁছে দেবাংশু লেখেন, এটি মোটেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ছড়া নয়। বাংলা আকাদেমির বিশেষ পুরস্কার পাওয়ার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন অনেকেই। তাঁর কবিতার উদাহরণ তুলে কিছু কিছু তীর্যক মন্তব্যও করেছেন কেউ কেউ। দেবাংশুর পোস্ট-টিও সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়নি। এই পোস্টের তলায় তাঁর উদ্দেশেও নানা রকম খোঁচা ছিল।
কিন্তু শেষ গিয়ে কী বললেন তিনি? নীচের কবিতাটি সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন অন্য রকম তথ্য।
_1652173945656.jpg)
দেবাংশু লিখেছেন, এটি মোটেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা নয়। এটি আসলে অনন্দাশঙ্কর রায়ের লেখা। তাঁর প্রশ্ন, এবার যাঁরা এত ক্ষণ ধরে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে নানা রকম চোখাচোখা মন্তব্য এবং কটূক্তি করছিলেন, তাঁরা এবার কী বলবেন? তাঁরা কি হাসির ‘ইমোজি’ বদলে এবার ভালোবাসার ‘ইমোজি’ দেবেন?
তাঁর বক্তব্য, এবার খেলা শুরু করি! এই কবিতাটি অন্নদাশঙ্কর রায়ের লেখা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়। উঁহু! না না। ভিডিয়োটা দেখতে দেখতে কমেন্ট ডিলিট করতে গিয়ে লাভ নেই। সব কটার স্ক্রিন শট নেওয়া আছে! আর আপনাদের এই কাণ্ড নিয়ে আমার পেজ থেকে এখুনি একটা ভিডিও আসব! যার নায়ক-নায়িকা আপনারাই.. প্লিজ স্টে টিউন্ড!’
শেষে গিয়ে দেবাংশু তাঁদের তুলোধনা করেছেন, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ছড়াগুলির সমালোচনা করেন। তাঁর ইঙ্গিত, ছন্দ মিলিয়ে লেখা মানেই, তার কোনও মান এবং মানে নেই, এমন ভাবার অর্থ নেই। এগুলি যে শিশুদের জন্য লেখা, তা বুঝতে হবে।