ঝাঁ চকচকে পোশাক, চোখে চশমা, অবিকল যেন নরেন্দ্র মোদী, একেবারে নিখুঁত হাতে তৈরি প্রধানমন্ত্রীর নতুন মূর্তি। হীরে খচিত এটি। দেখলেই চোখে জুড়িয়ে যায়। মূর্তির ভিডিয়োটি ভাইরালও হয়েছে তাই।
যদিও প্রাকৃতিক হীরে নয়, ল্যাবে তৈরি করা হয়েছে এই হীরেগুলো। তবুও তার জৌলুস এক চিলতেও কমেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় কমিউনিটির সদস্য, রাজকুমার এবং আশ্রিত, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই ছোট মূর্তিটি তৈরি করেছেন। মূর্তিটি তৈরি করতে দেড় বছর সময় লেগেছে। ৩০ থেকে ৪০ জন কর্মী নিয়ে কাজ করেছেন দু' জনে।
আরও পড়ুন: (Bangla Jokes Collection: বৃষ্টি নেমে গরম কমেছে, এবার হাসির পালা! পড়ে নিন দিনের সেরা ৫ জোকস, থাকুন আনন্দে)
প্রসঙ্গত, গত বছরের জুন মাসের দিকে, হোয়াইট হাউসের ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনকে বিশেষ উপহার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি তাঁকে একটি এমনই ৭.৫ ক্যারেট হীরা উপহার দেন, যা সম্পূর্ণ ইকো ফ্রেন্ডলি অর্থতবপরিবেশ বান্ধব। এই হিরে সুরাটে তৈরি হয়েছিল, কাটা এবং পালিশও করা হয়েছিল।
আর প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার থেকেই অনুপ্রাণিত হন অসিতরা। পরিকল্পনা করেন এমনই একটি মূর্তি তৈরির। যেমন ভাবা তেমন কাজ। রাজকুমার এনডিটিভিকে বলেছেন, 'যখন প্রধানমন্ত্রী মোদী মিসেস বাইডেনকে ল্যাবে তৈরি হীরে উপহার দেন, আমরা তাতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। এই মূর্তিটি তৈরি করতে আমাদের দেড় বছর লেগেছে, কারণ আমরা অনেক ভুল করেছি এবং আবার নতুন চেষ্টা করতে হয়েছে।' তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই মূর্তিটি উপহার দিতে চান বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: (Kitchen hack in monsoon: বর্ষায় রান্নাঘরের মসলা খারাপ হয়ে যাচ্ছে? এই ৬টি উপায় হবে সমস্যার সমাধান)
ল্যাবে হিরে তৈরির প্রবণতা বাড়ছে
সস্তা বলে যে এই হীরে গুণমান কম, তা একেবারেই নয়। বরং এগুলি সস্তা কারণ প্রাকৃতিক হীরের তুলনায় এগুলি তৈরিতে খরচ কম হয়। লোকবল কম লাগে। প্রাকৃতিক হীরে তৈরি হতে, যেমন কয়েক বছর সময় লাগে, তারপরে সেগুলি খনন করা হয়, তারপরে কাটা, পরিষ্কার এবং ব্যবহার করা হয়, কিন্তু ল্যাবে এই প্রক্রিয়া কম সময়ের মধ্যেই হয়ে যায়। তাই এলজিডির দাম প্রাকৃতিক হীরার চেয়ে ৬০-৭০ শতাংশ কম। আর ল্যাবে তৈরির হীরের জনপ্রিয়তার সবচেয়ে বড় কারণ হলো এগুলো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়।