ভারতের মতো একটি দেশে অনেক কষ্ট পড়াশোনা করে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্নই দেখেন বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে হঠাৎ সম্পূর্ণ অন্য কোনও কাজ করবে, এমনটা অনেকে ভাবতেও পারেন না। তার উপর যদি কেউ চায়ের দোকান খুলবে মনে করেন, তাহলে লোকের ভ্রু কুঁচকে যাওয়াই যেন স্বাভাবিক। দিল্লির শর্মিষ্ঠা ঘোষের স্বপ্ন অবশ্য এমনটাই। একটু গড়পড়তা চেনা ছকের বাইরে বেরিয়ে তিনি স্বপ্ন দেখছেন চায়ের দোকান করেই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার। তাঁর বিশ্বাস, ভবিষ্যতে কখনও না কখনও তাঁর এই ছোট্ট চায়ের দোকানের নাম ছড়িয়ে পড়বে দেশের দিকে দিকে। বিভিন্ন রাজ্যে থাকবে দোকানের একাধিক শাখা।
ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন শর্মিষ্ঠা। এরপর এক বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছু দিন চাকরিও করেন তিনি। কিন্তু মন বসল না বেশিদিন। অন্য এক স্বপ্ন টানছিল তাঁকে। চারচাকার ঠেলা গাড়িতে নিজের চায়ের দোকান হবে। সে স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতেই একদিন চাকরি ছেড়ে দিলেন শর্মিষ্ঠা। তাঁর স্বপ্ন তাঁর চায়ের দোকান একদিন দেশের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে পড়বে। একডাকে সবাই চিনবে শর্মিষ্ঠা ঘোষের চায়ের দোকানকে। তার ইচ্ছে দেশ জুড়ে একটি বড়সড় ‘ফুডচেন’ তৈরি করার। তবে এমন স্বপ্ন শর্মিষ্ঠার একার নয়। একই স্বপ্ন দেখেছেন শর্মিষ্ঠার সহকর্মী ভাবনা রাও। পেশায় তিনি বিমানসংস্থার কর্মী।
সমাজমাধ্যমে শর্মিষ্ঠার জীবনের কথা ভাইরাল হয়ে যায়। ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার সঞ্জয় খান্নার চোখে পড়েছিল পোস্টটি। তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘এমন ছকভাঙা ঘটনা দেখলে আমার উৎসাহ বেড়ে যায়। কিন্তু আমার প্রশ্ন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা এমন কাজ বেছে নিলেন কেন?’ উত্তরে শর্মিষ্ঠা জানান, ‘তাঁর স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতেই এমন পথ বেছে নেওয়া।’
শর্মিষ্ঠা এবং ভাবনার এমন উদ্যোগ দেখে স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত নেটিজেনরা। শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসে গিয়েছে কমেন্ট বক্স। পোস্টটি করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় সমাজমাধ্যমে। তাঁদের এমন প্রয়াস দেখে অনেকেই অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন নতুন করে, অন্যভাবে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাববার।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup