হোলির আনন্দের পর শরীরের সঠিক যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে অ্যালার্জি ও সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বিশেষ করে কৃত্রিম রঙের রাসায়নিক উপাদান - ত্বক, কান, চোখ এবং গলায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই হোলির পর সঠিক পরিচর্যা ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গ্রহণ অপরিহার্য।
এইচটি লাইফস্টাইলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে, গুরুগ্রামের সিকে বিড়লা হাসপাতালের অ্যালার্জি এবং ইএনটি বিশেষজ্ঞ, পরামর্শদাতা ডক্টর বিজয় ভার্মা বলেন, “হোলির পরে সাধারণত মানুষ প্রচুর পরিমাণে অ্যালার্জি এবং সংক্রমণের সম্মুখীন হয়, বিশেষ করে কান, নাক এবং গলায়। এই সমস্যাগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং দ্রুত আরোগ্য নিশ্চিত করতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য হয়ে ওঠে।"
সুস্থ থাকার জন্য হোলি-পরবর্তী কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
স্যালাইনের ফোঁটা দিন
হোলির জন্য তৈরি রংগুলিতে কৃত্রিম রাসায়নিক এবং সূক্ষ্ম গুঁড়ো থাকে যা নাকের ছিদ্রকে আরও উত্যক্ত করে তোলে, যার ফলে ঘন ঘন হাঁচি আসে, নাক দিয়ে জল পড়ে এবং অ্যালার্জিতে ভুগতে হয়। নাকের ভিতরে থাকা সমস্ত ময়লা দূর করার জন্য নুন আর জল মিশ্রিত এই স্যালাইন ড্রপ দিন।
কান পরিষ্কার করুন
হোলির সময় জল এবং রঙিন পাউডারের সংস্পর্শে কানের সংক্রমণ হতে পারে। কানের ভিতরে আটকে থাকা জল, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক বৃদ্ধি করতে পারে, যার ফলে চুলকানি এবং অস্বস্তি হয়। এটি এড়াতে হোলি খেলার পরে আপনার কান হালকাভাবে পরিষ্কার করুন এবং ধারালো জিনিস কানের ভিতরে ঢোকাবেন না।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
কমলালেবুসহ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান, যা প্রদাহ কমায় এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
আরও পড়ুন - Detox Full Body: এই হোলিতে বেশি খেয়ে ফেললেও ‘নো টেনশন’! এই ৭ পানীয়ই ডিটক্স করে দেবে শরীরকে
প্রদাহ বিরোধী খাবার
হলুদ সমৃদ্ধ খাবার খান, যা প্রদাহ বিরোধী এবং প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দই পেট ভালো রাখে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার
কিউই এবং বেরির মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। প্রচুর পরিমাণে জল পান করা এবং মশলাদার বা অ্যাসিডিক খাবার এড়িয়ে চললেও পেট জ্বালা কমবে।
আরও পড়ুন - Holi 2025: হ্যাংওভারের ভয়ে হোলিতে ভাংয়ে ভঙ্গ দিতে চাইছেন? এই ৬ উপায়ে সহজেই কাটান ঝিমধরা নেশা
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এটি সমস্যাটি সম্পর্কে সাধারণ ধারণার উপর আলোকপাত করা মাত্র। ব্যক্তিবিশেষে প্রতিটি সমস্যার চিকিৎসা এবং নিরাময়ের পদ্ধতি পৃথক। তাই যে কোনও সমস্যায় শুধুমাত্র এই প্রতিবেদনের কথায় ভরসা না রেখে, ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসকের বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।