যে জীবনযাত্রায় বর্তমানে শহুরে জীবন অভ্যস্ত, তাতে শরীরের খেয়াল সঠিকভাবে রাখা কার্যত চ্যালেঞ্জ! তবে দিনের ব্যস্ততার মধ্যেও প্রতি দিনের ডায়েট চার্টে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। সপ্তাহের খাবারে প্রতিটি পুষ্টিগুণ শরীরে কতটা যাচ্ছে তার দিকে রাখতে হবে খেয়াল। উল্লেখ্য, আমাদে শরীরের বিভিন্ন দিক নিয়ে খেয়াল রাখার সময় আমরা প্রায়সই চোখের বিষয়ে সেভাবে গুরুত্ব দিইনা! আর এখানেই থেকে যায় ফাঁক! দেখে নেওয়া যাক, ন কোন খাবার চোখ ভাল রাখে। এই সমস্ত সবজি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার সপ্তাহে আপনার পাতে পড়ে কি না দেখে নিন।
গাজর
দুপুরে কিম্বা রাতে ভাত পাতে স্যালাড খাওয়া জরুরি। আর সেই স্যালাডের থালায় যেন গাজর থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। গাজরে থাকে, বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ। এছাড়াও গাজরে থাকা রোডোপসিন রেটিনা ভাল রাখতে সহায়তা করে।
ড্রাগন ফ্রুট
আশপাশের বাজারে খোঁজ করলেই মিলতে পারে ড্রাগন ফ্রুট। আর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সম্পন্ন এই ফল চোখের জন্য খুবই ভাল। এটি কর্নিয়ার জন্য খুবই ভাল।
শাক
ক্যাটারাক্টের সমস্যাই হোক বা সূর্যের তাপে চোখ খারাপ হওয়ার ঘটনাই হোক, পালং , বাঁধাকপির পাতার মতো বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাক বা পাতা জাতীয় খাদ্য চোখের পক্ষে খুবই ভাল।
শস্য জাতীয়
সূর্যমুখীর বীজ, চিয়া সিড, ছাড়াও কুমড়োর বীজ খুবই ভাল চোখের পক্ষে। এই ধরনের বীজে ওমেগা থ্রি ও ভিটামিন ই থাকে। যা চোখের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।
ফল
লেবু জাতীয় যেকোনও ফলই চোখের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। ভিটামিন সি ভরপুর থাকা ফলগুলি চোখের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভাল। এছাড়াও আঙুর ও কমলা লেবু খুবই ভাল চোখের স্বাস্থ্যের পক্ষে।
মাছ
এছাড়াও চোখ ভাল রাখতে মাছ খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহের খাবারে বাঙালি বাড়িতে মাছ পাতে পড়বে না তা কী হয়? তবে অনেকেই পছন্দ করেন না মাছ খেতে। তবে খেয়াল রাখতে হবে এমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড কিন্তু মাছে রয়েছে, ফলে সপ্তাহের ডায়েটে মাছ থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও মাছের তেল চোখের জন্য উপকারী। মাছের মধ্যে ছোট মাছ, ইলিশ রুই চোখের পক্ষে খুবই উপকারী।
আতা
আতায় রয়েছে ভিটামিন বি, সি ও পটাশিয়াম। চোখের নিচে ফোলাভাব কমাতে আতা খুবই জরুরি। ফলে আতা সপ্তাহের খাবারের তালিকায় থাকা প্রয়োজন।