কিডনি ফেলিওর কী?
কিডনি ফেলিওর বা কিডনি বিকলতা হল এমন একটি অবস্থা যেখানে কিডনি তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং শরীর থেকে বর্জ্য ও অতিরিক্ত তরল বের করতে ব্যর্থ হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণগুলি সনাক্ত করা গেলে কিডনি বিকলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে।
কিডনি ফেলিওরের প্রাথমিক লক্ষণ
১. বেশি বা কম প্রস্রাব হওয়া: কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে প্রস্রাবের পরিমাণে বেড়ে অথবা কমে যায়। কেউ কেউ অতিরিক্ত প্রস্রাব করতে থাকেন, আবার কেউ খুব কম প্রস্রাব করেন।
২. মূত্রের রঙ ও গন্ধ পরিবর্তন: প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হলুদ, লালচে বা ফেনাযুক্ত হতে পারে। কখনও কখনও প্রস্রাবের গন্ধও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঝাঁঝালো হতে পারে।
৩. শরীর ফেঁপে যাওয়া: কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল বের করতে না পারলে মুখ, হাত, পা এবং গোড়ালি ফুলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন - Jeera Water: হজম করাতে মোক্ষম দাওয়াই জিরে জল! গুণের লিস্ট লম্বা
৪. অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা: রক্তে বর্জ্য পদার্থ জমে গেলে শরীরে শক্তির ঘাটতি হয়, যার ফলে সবসময় ক্লান্ত ও দুর্বল লাগতে পারে।
৫. ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি: কিডনি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে না পারলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং চুলকানি দেখা দিতে পারে।
৬. মাথা ঘোরা ও মনোযোগের অভাব: বিপজ্জনক মাত্রায় টক্সিন জমে গেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে। ফলে মানসিক বিভ্রান্তি, মনোযোগের অভাব ও মাথা ঘোরার মতো সমস্যায় ভুগতে পারেন।
৭. বমি বমি ভাব ও খাবারে অরুচি: কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে খাদ্য হজমে সমস্যা হয়, যার ফলে বমি বমি ভাব এবং স্বাদহীনতার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
৮. উচ্চ রক্তচাপ: কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, যা হার্টের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
আরও পড়ুন - Health Alert: রান্নাঘর থেকেই ছড়াতে পারে ক্যানসারের জার্ম, দূরে রাখুন এই জিনিস
কিডনি বিকলতার এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত জল পান এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা কিডনির সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা কথার ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ না করার অনুরোধ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য নিয়ে যে কোনও প্রশ্ন, যে কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য চিকিৎসক বা পেশাদার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।