যতই করোনাভাইরাসের মতো জীবাণু আমাদের ভয় দেখাক না কেন, এখনও পর্যন্ত ক্যানসারের মতো অসুখ নিয়ে আতঙ্ক তার চেয়ে অনেক বেশি। কারণ এই অসুখকে পুরোপুরি সারিয়ে ফেলার মতো কোনও ওষুধ এখনও আবিষ্কার হয়নি।
তবে এবার আশার আলো দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ক্যানসারের চিকিৎসা চলাকালীন অনেকেই সেই চিকিৎসার ধকল না নিতে পেরে মারা যান। সেই সমস্যাই কিছুটা কমানোর রাস্তা খুঁজে পেয়েছেন কলকাতার বিজ্ঞানী।
সম্প্রতি কয়েক জন বিজ্ঞানী কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঠেকানোর ওষুধ আবিষ্কার করেছেন। এই দলে রয়েছেন কলকাতার এক বিজ্ঞানীও। দেবমাল্য বাড়। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন পথ দেখাতে চলেছে এই আবিষ্কার।
কিন্তু কী এই ওষুধ?
এটি হল প্রোবায়োটিক। পেটের গণ্ডগোল হলে এই ধরনের ওষুধ অনেককেই দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেই ওষুধই এবার কমিয়ে দিচ্ছে কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
সাধারণ প্রোবায়োটিকের মধ্যে ল্যাকটোব্যাসিলাস জাতীয় ব্যাকটিরিয়া থাকে। দুগ্ধজাত এই ব্যাকটিরিয়ার বিশেষ রূপ ল্যাকটোব্যাসিলাস ডেলব্রুয়েকির একটি প্রজাতি ল্যাকটিস সিডকা ১৩৩-এর মধ্যে কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আটকানোর ক্ষমতা টের পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ল্যাবরেটরিতে ইঁদুরের উপর প্রয়োগ করে দারুণ ফল পাওয়া গিয়েছে এর ফলে।
ওজন হ্রাস বা কেমোথেরাপি চলার সময় শরীরে জলের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলি অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এই ব্যাকটেিরিয়ার মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, ক্যানসার নিরাময়েও কাজে লাগতে পারে এগুলি।
বিজ্ঞানীদের আশা, প্রোবায়োটিক সস্তা হওয়ায় সাধারণ মানুষ এর থেকে উপকার পাবেন। হাজার হাজার ক্যানসার রোগী চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেই মারা যান। তাঁদের কাছে এই আবিষ্কার আশার আলো হয়ে আসতে পারে।