৭৮৮৩১.৬০ বর্গমিটার পরিসর জুড়ে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করে তাক লাগিয়ে দিল হাওড়া স্টেশন। রেলকর্তারা জানতে পেরেছেন, বছরে প্রায় ১৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। প্রায় ৯৭ হাজার ৫২৪ ঘনমিটারের মতো জল পাওয়া যায়। বর্তমানে জলের ঘাটতির সময়, এই বিপুল পরিমাণ জলরাশিই যদি পুনরায় ব্যবহার করা হয়, তাহলে জলের ঘাটতি কিছুটা হলেও মিটবে বলে আশা রেখেছে কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই, অনন্য উপায়ে করা হচ্ছে জল সংরক্ষণ।
গত কয়েক বছর ধরেই হাওড়া স্টেশনে জল এবং শক্তির পুনরায় ব্যবহার নজর কেড়েছে। এই ব্যবস্থার পরিকাঠামো উন্নত করার জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। অভিনব এই উদ্যোগের জন্য ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের প্ল্যাটিনাম রেটিংও পেয়েছে হাওড়া স্টেশন।
আরও পড়ুন: (Meat can lead to diabetes: মাংস প্রেমীরা সাবধান, সংযমহীন ভাবে খেলে হতে পারে ডায়াবিটিস, বলছে গবেষণা)
কীভাবে জল সংরক্ষণ করে পুনরায় ব্যবহার করা হচ্ছে
জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশনের ২৩টি প্ল্যাটফর্ম এবং তার মূল ভবনের বিরাট ছাদকে বৃষ্টির জল ধরে রাখার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও নতুন কমপ্লেক্সের কাছে একাধিক জলাধার তৈরি করা হয়েছে। সেখানেও পাইপ লাগিয়ে জল ধরে রাখা হচ্ছে। তারপর ধরে রাখা ওই জলের কিছু অংশ ভূগর্ভে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এইভাবে জলস্তরের ভারসাম্যও বজায় রাখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: (QR Code on medicine: নকল হইতে সাবধান! জাল ওষুধ এবং ভ্যাকসিনের বাজার আটকাতে QR কোড চালু করছে সরকার)
বৃষ্টির জল ভূগর্ভে কীভাবে ফেরত পাঠাচ্ছে রেল
বৃষ্টির জলের একাংশকে ভূগর্ভে ফেরত পাঠানোর জন্য ভগ্ন জলাধার ব্যবহার করছে কর্তৃপক্ষ। প্রায় ২০,০০০ লিটারের একটি ভগ্ন জলাধারে নুড়িপাথর, বালি এবং কাঠকয়লার স্তর তৈরি করে বৃষ্টির জলকে যতটা সম্ভব পরিষ্কার করা হচ্ছে। তারপর ওই জলাধারটিকে কাজে লাগিয়েই বৃষ্টির জল ভূগর্ভে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সারা বছরে প্রায় ৯ কোটি ৭৫ লক্ষ লিটার জল সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে দৈনিক প্রায় ২০ হাজার লিটার জল ভূগর্ভে পাঠানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে সারা বছরে প্রায় ৭৩ লক্ষ লিটার জল যাচ্ছে ভূগর্ভে। তাহলে বাকি জল কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে?
আরও পড়ুন: (Tigers in the Sundarbans: ভরা বর্ষায় সুন্দরবনে জোড়ায় বাঘ দর্শন, আনন্দে আটখানা পর্যটকরা)
সাফাইয়ের জন্য স্বাদু জল ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ছে না
সংগৃহিত জলের যে অংশ বাড়তি থাকছে, তা শোধন করে স্টেশন, ট্র্যাক, প্ল্যাটফর্ম, সাফাউ করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। যার দরুণ ভূগর্ভস্থ মিষ্টি জলের প্রয়োজন পড়ছে না। এক কথায় গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজো করছেন রেলের কর্তারা।