সেপ্টেম্বর মাসে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে ভারতে। স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখেছে আবহাওয়া দফতর। উত্তর-পশ্চিম ভারত এবং আশেপাশের এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে। একটি প্রেস কনফারেন্সে এমনটাই বলেছেন আইএমডি অর্থাৎ ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র।
আরও পড়ুন: (Vande Bharat Food Quality: রেলের খাবারের সঙ্গে পাঁচতারা হোটেলের তুলনা, লোক হাসালেন ইনফ্লুয়েন্সার)
কোন কোন রাজ্যে বৃষ্টি বেশি হবে
অগস্ট মাসে, এমনিতেও প্রবল বর্ষণের সাক্ষী থেকেছে ভারত। এবার পালা সেপ্টেম্বর মাসের। জানা গিয়েছে যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, হিমাচল প্রদেশের কিছু অংশ, জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের সংলগ্ন অঞ্চল সহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই মাসের প্রতি সপ্তাহে, বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে উঠতে পারে, যা সারা ভারতে প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তাই ভূমিধস নামতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এই অঞ্চলে আবার স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টিপাত হবে
আইএমডি প্রধান এদিন বলেছেন যে উত্তর-পশ্চিম ভারতের কিছু এলাকা, দক্ষিণ উপদ্বীপের অনেক এলাকা, উত্তর বিহার এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল ছাড়া ভারতের বেশিরভাগ অংশে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশিরভাগ এলাকায় স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টিপাত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: (Viral: মোমো এবং ডিম সামের মধ্যে পার্থক্য কী? মজার উত্তর দিয়ে ভাইরাল দিল্লির ব্যক্তি)
অগস্ট মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত
ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের মতে, অগস্ট মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আইএমডি অনুসারে, দেশে আগস্ট মাসে ১৬ শতাংশের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবার উত্তর-পশ্চিম ভারতে ২৫৩.৯ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ২০০১ সালের পর অগস্ট মাসেই এই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের সাক্ষী থাকল ভারত। আবহাওয়া দফতরের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র, এ প্রসঙ্গে বলেছেন যে দেশে অগস্ট মাসে ২৮৭.১ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ২৪৮.১ মিমি।
এত বৃষ্টিপাত এইভাবে খাবারের দাম কমাতে পারে
অতিরিক্ত বৃষ্টি ধান এবং সয়াবিনের মতো ফসল চাষে সাহায্য করতে পারে। মূল জলাশয়ে জলের স্তর বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এর দরুণ গম এবং রেপসিডের মতো শীতকালীন ফসলের চাষ ভালো হবে। মাটিতে এই অতিরিক্ত আর্দ্রতা কৃষিকাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কৃষিনির্ভর ভারতের অর্থনৈতিক খাতকে শক্তিশালী করবে। জুলাই মাসে ৫.৪ বেড়েছে খাবারের দাম। আর ফসলের ভালো ফলন খাবারের এই বর্ধিত দাম কমাতেও সাহায্য করতে পারে। চাল ও চিনি রপ্তানির সীমাও তুলে নিতে পারে কেন্দ্র।