বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Raju Srivastava: রাজু শ্রীবাস্তবের অবস্থা এখনও সংকটজনক, হৃদরোগ কীভাবে মস্তিষ্কের ক্ষতি করে দেখুন

Raju Srivastava: রাজু শ্রীবাস্তবের অবস্থা এখনও সংকটজনক, হৃদরোগ কীভাবে মস্তিষ্কের ক্ষতি করে দেখুন

রাজু শ্রীবাস্তবের অবস্থা এখনও সংকটজনক

জিম করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক হয় কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তবের। তাঁর সেই হার্ট অ্যাটাক থেকেই হয়ে যায় মস্তিষ্কের ক্ষতি। দেখুন চিকিৎসকরা কী বলছেন।

অগস্টের ১০ তারিখ দিল্লির একটি জিমে ব্যায়াম করার সময় আচমকাই হার্ট অ্যাটাক হয় কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তবের। এরপর বারো দিন কেটে গিয়েছে, কিন্তু তিনি এখনও ক্রিটিকাল অবস্থাতেই আছেন। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পরই তাঁর ব্রেনে ইনজুরি হয়ে যায়। দিল্লির এইমসে ভর্তি করানো হয়েছে তাঁকে। কিন্তু এই বারো দিনে ভীষণই কম উন্নতি হয়েছে তাঁর স্বাস্থ্যের। চিকিৎসকরা এই বিষয়ে কী বলছেন দেখে নিন।

হার্ট অ্যাটাক কী?

হার্ট অ্যাটাক হলেই অনেকে মারা যান। বিশ্ব জুড়ে এটা মৃত্যুর অন্যতম একটি কারণ বটে। রক্তচলাচল থেমে গেলে বা না হলে হার্ট আচমকাই কাজ করা বন্ধ করে দেয়, আর তখনই হয় হার্ট অ্যাটাক। আর সঙ্গে সঙ্গে এটার চিকিৎসা না হলে মাত্র ৩ থেকে ৮ মিনিটের মধ্যেই মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়ে যায় এবং মৃত্যু ঘটে। যাঁদের হাসপাতালের বাইরে হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশরই মৃত্যু ঘটে। এমনটাই জানাচ্ছে পরিসংখ্যান।

এমনকী যাঁদের হার্ট অ্যাটাকের পর সুস্থ করে ফিরিয়ে আনা হয় পরবর্তীকালে তাঁদের অধিকাংশেরই মৃত্যু ঘটে ব্রেন ইনজুরির কারণে। অর্থাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে ব্রেন ইনজুরি অথবা মস্তিষ্কের ক্ষতি হবেই। অথবা বেঁচে যান, তাঁদের একটা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয়েই যায় মস্তিষ্কের। যদিও আমাদের দেহের ওজনের মোট ২ শতাংশ ওজন হল মস্তিষ্কের, কিন্তু তবুও, গোটা শরীরের মোট রক্ত চলাচলের ১৫-২০ শতাংশ রক্ত লাগে তার কাজ করতে।

মাথার টিস্যুর কাজ করার ক্ষমতা পুরোপুরি নির্ভর করে অক্সিজেন এবং গ্লুকোজ সাপ্লাইয়ের উপর। আর তাই যেই মুহূর্তে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে সেই মুহূর্তে মাথাও কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ঠিক যেমনটা রাজু শ্রীবাস্তবের হয়েছে।

এই বিষয়ে একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন রোগীকে বাঁচানোর জন্য, যেমনটা দিল্লির একটি হাসপাতালে করা হয়েছিল। একজন ৩৭ বছর বয়সী ব্যক্তি আনা হয়েছিল যাঁর হঠাৎ বুকে ব্যথা হয় হাসপাতালে আনার আধ ঘণ্টা আগে এবং হাসপাতালে যখন তাঁকে হয় তিনি শ্বাস নেওয়ার জন্য রীতিমত ছটফট করছেন, পালস নেই, বেঁচে থাকার আর কোনও লক্ষণই ছিল না তাঁর। তখন তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে সিপিআর দেওয়া হয়। সঙ্গে শক দেওয়া হয়, একই সঙ্গে দেওয়া হয় যা যা ওষুধ দেওয়ার সেগুলো। এর প্রায় বাইশ মিনিট পর তাঁর হার্ট আবার চলতে শুরু করে। এরপরই তাঁর অ্যাঞ্জিওপালস্টি করা হয় যেহেতু ইসিজিতে ধরা পড়ে যে তাঁর একটা বড় হার্ট অ্যাটাক হিয়ে গিয়েছে। যদিও তিনি বাইশ মিনিট চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী মৃত ছিলেন, তবুও তিনি সুস্থ হয়ে সঠিক সময় চিকিৎসা পাওয়ার কারণ বাড়ি ফিরে যান।

বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা খুব বেড়ে গিয়েছে, এর মূল কারণ হচ্ছে উদ্দাম জীবনযাপন, সঠিক সময় না খাওয়া, পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়া, ধূমপান, ব্যায়াম না করা, ইত্যাদি। এর ফলে শরীরে কোলেস্টরল বাড়তে থাকে, এবং যা ধমনীতে রক্ত চলাচলে বাধা তৈরি করে। আর সেটাই ডেকে আনে চরম সর্বনাশ, হার্ট অ্যাটাক।

তাই হার্ট অ্যাটাকের হাত থেকে বাঁচতে সঠিক জীবনযাপন করুন, সঠিক খাবার খান, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান। সর্বোপরি নিয়মিত হার্টের চেক আপ করান এবং সামান্য কোনও অসুবিধা হলেই কালবিলম্ব না করে হাসপাতালে যান।

বন্ধ করুন