আর মাত্র একটা দিন। সোমবার সারা দেশ জুড়ে পালিত হবে রাখি পূর্ণিমা উৎসব। এই দিন ভাইদের হাতে রাখি পরিয়ে এই উৎসব পালন করেন বোনেরা। কিন্তু আপনি কী জানেন ভারতের এমন কিছু স্থান রয়েছে, যেখানে কখনওই পালন করা হয় না রাখি উৎসব। এই স্থানে রাখি উৎসবকে অশুভ বলে মনে করা হয়। কিন্তু কেন? জানুন ভারতের কোন কোন স্থানে রাখি উৎসব পালন করা হয় না।
উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ : উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের মুরাদনগরের সুরান গ্রামে দ্বাদশ শতাব্দী থেকে রাখি উৎসব পালন করা হয় না। এই এলাকার বাসিন্দারা রাখি উৎসবকে কালো দিন বলে মনে করেন। আসলে রাজস্থানের পৃথ্বীরাজ চৌহানের বংশধর সোন সিং হিন্দন নদীর তীরে একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যার খবর পেয়ে যান মোহাম্মদ ঘরি। তিনি রাখি বন্ধনের দিন হাতি নিয়ে ওই গ্রামের উপর হামলা চালান এবং তাতে বহু মানুষ আহত এবং নিহত হন। তারপর থেকেই কখনও এই গ্রামে রাখি উৎসব পালন করা হয় না।
(আরও পড়ুন: আপনার ভাই কি ভোজনরসিক? এডিবেল রাখি দিয়ে চমকে দেবেন নাকি? কেমন করে বানাবেন দেখুন)
উত্তরপ্রদেশের গোণ্ডা জেলা: উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা জেলার ভিকমপুর জগৎপুরা গ্রামে রাখি উৎসব পালন করা হয় না। প্রায় ৬ দশক ধরে এই গ্রামের বোনেরা ভাইদের হাতে রাখি পরাননি। কথিত রয়েছে, ১৯৫৫ সালে এক বোন তার ভাইয়ের হাতে রাখি পরিয়েছিলেন, ওই একই দিনে গ্রামে একজনকে খুন করা হয়েছিল। তারপর কয়েক দশক পর গ্রামে রাখি উৎসবের সূচনা করা হলেও গ্রামে ঘুরতে থাকে অদ্ভুত সব ঘটনা। তারপর থেকে ওই গ্রামের কেউ রাখি উৎসব পালন করার সাহস করতে পারেননি।
উত্তরপ্রদেশের সম্বর জেলা: প্রায় ৩০০ বছর ধরে উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলার বেনিপুর চক গ্রামে রাখি উৎসব পালন করা হয় না। একটি তিক্ত স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রাখি উৎসবের দিনটি, তাই এই গ্রামের মানুষ রাখি উৎসব পালন করেন না।
রাজস্থানের পালি গ্রাম: রাজস্থানের পালি গ্রামে, পালিয়নালের বসবাস। কথিত রয়েছে, ১২৩০ খ্রিস্টাব্দের দিকে রাখি বন্ধনের দিন মোহাম্মদ ঘরি এই গ্রামকে আক্রমণ করেছিলেন এবং বহু মানুষ মারা যায়। তারপর থেকে এই গ্রামে রাখি উৎসব উদযাপন বন্ধ হয়ে যায় এবং প্রায় ৮০০ বছর ধরে এই গ্রামের কেউ রাখি উৎসব পালন করেন না।
(আরও পড়ুন: আপনি কি বারবার খাবার গরম করে খান? তাহলে জেনে নিন কোন কোন খাবারে সেটি করবেন না)
উত্তরপ্রদেশের ধৌলানা জেলা: উত্তরপ্রদেশের ধৌলানা জেলার সাথা এলাকায় রাখি উৎসব পালন করা হয় না। এই গ্রামের লোকেরা নিজেদেরকে মহারানা প্রতাপের বংশধর মনে করেন। রাখি উৎসবের দিন যেহেতু মহারানা প্রতাপ পরাজয়ের মুখে পড়েছিলেন, তাই এই দিনটি এই গ্রামের মানুষ শোক দিবস হিসেবে পালন করেন।