পবিত্র রমজান মাসে অনেকেই রোজা রাখেন। আর রোজা ভাঙার পর শুরু হয় ইফতারের খাওয়া দওয়া। তবে ইসলাম ধর্মের পরম্পরা অনুযায়ী, খেজুর খেয়ে ভাঙা হয় রোজা। তবে বিভিন্ন ফলের মধ্যে কেন এই খেজুর খেয়েই রোজা (উপবাস) ভাঙা হয়, তার নেপথ্যেও রয়েছে একটি ইতিহাস। এদিকে, খেজুর খাওয়ার বিষয়ে একাধিক পুষ্টিগুণের তথ্য উঠে আসছে। দেখে নেওয়া যাক, কেন রোজা ভাঙতে খাওয়া হয় খেজুর? খেজুরে রয়েছে কোন কোন পুষ্টিগুণ?
খেজুরের পুষ্টিগুণ একনজরে-
-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেজুরের মধ্যে রয়েছে বহু ধরনের পুষ্টিগুণ। এতে রয়েছে ক্যালোরি, ফাইবার, প্রোটিন। মিনারেলের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও কপার। রয়েছে ভিটামিন বি সিক্স ও আয়রন। অর্থাৎ একাধিক পুষ্টিগুণে ঠাসা রয়েছে খেজুর। প্রচুর অ্যান্টিঅক্সডেন্ট থাকায় খেজুরকে সুপারফুড বলা যায়। আর এই পুষ্টিগুণ খেজুরের মধ্যে থাকে বলে সোহরির সময় অনেকেই খেজুর খেয়ে নেন। এরপর রোজা ভেঙে প্রথমেই খেজুর খান।
-হার্টের সমস্যা কাটিয়ে তুলতে এই খেজুরের গুরুত্ব অপরিসীম। এতে পটাশিয়াম ও অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে খেজুর খাওয়া উচিত হার্টের সমস্যা থেকে থাকলে।
-মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খেজুর খুবই ভাল। প্রদাহ কমাতে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই সাহায্য করে।
-খেজুরের আয়রন ও ফাইবার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। খেজুরে প্রচুর পটাশিয়াম পাওয়া যায়। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
-খেজুর যোগায় এনার্জি। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, গ্লুকোজ, পটাশিয়াম থাকে। থাকে সুক্রোজ।
- হজমে সুবিধা দেয় খেজুর। শরীরে প্রোটিনের ব্যবহারকে সক্রিয় করে দেয় খেজুর। উৎসাহিত করে বিপাক ক্রিয়ায়। হাইপার টেনশনের রোগীদের পক্ষে খেজুর খুবই ভাল।
- রক্তাল্পতা থাকলে তা কাটিয়ে দেয় খেজুর। যাঁদের শরীরে রক্তের অভাব রয়েছে, তাঁদের পক্ষে খেজুর খুবই ভাল।
কেন রোজা ভাঙতে খেজুরকে বেছে নেওয়া হয়?
ইসলাম ধর্মের ইতিহাস অনুযায়ী, হজরত মহম্মদ তাঁর উপবাস ভেঙে ছিলেন তিনটি খেজুর খেয়ে ও জল পান করে। এরপর থেকেই রমজানের সঙ্গে জড়িত রয়েথে খেজুর। এমনকি ইফতারের বিরিয়ানি, শরবত, কাবাবেও বহু বাড়িতেই দেওয়া হয় খেজুর।